ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রতি সপ্তাহে টিআরপিতে (TRP) ‘আনন্দী’ (Anandi) ধারাবাহিক ভালো ফল করতে না পারলেও আদি এবং আনন্দীর জুটি বেশ জনপ্রিয় দর্শকদের কাছে (Writwik Mukherjee)। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ জুটিকে দ্বিতীয়বার নতুন রূপে টিভির পর্দায় দেখে দর্শকেরা বেশ আপ্লুত। সিরিয়ালে প্রত্যেক পদক্ষেপে আনন্দীর পাশেই ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে আদি। এই ধারাবাহিকের নিত্য নতুন মোড় দর্শকদের কাছে প্রতিনিয়ত নজর কাড়ে। কিন্তু ইদানিংকালে এই ধারাবাহিক ঘিরে রটছে অন্য খবর। এই সিরিয়াল ছাড়তে বসেছেন আদি দেবনাথ ওরফে ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় (Writwik Mukherjee) । কিন্তু কেন এরূপ সিদ্ধান্ত? অভিনেতা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন ট্রাইব টিভিকে।
নতুন পথ চলা ঋত্বিকের (Writwik Mukherjee)
ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় (Writwik Mukherjee) অভিনয় জগতে টলিউডের অন্যতম অভিনেতা। বলাই বাহুল্য, বহু মহিলারাই চুপিচুপি তাঁর প্রেমে হাবুডুবু খায়। আর এবার সেই তিনি কিনা ছাড়ছেন ধারাবাহিক? টিভির পর্দায় দেখা যাবে না আর তাঁকে? এখনই ধারাবাহিক ছাড়ার কথা ভাবছেন না ঋত্বিক, তিনি জানিয়েছেন সবেমাত্র বৈশাখ মাস। আর এই মাসের শুরু থেকেই তাঁর জীবন কাটছে কাজের মধ্যে দিয়েই। আনন্দী ধারাবাহিকের শ্যুটের পর জি বাংলার তরফে আসন্ন নতুন ধারাবাহিক ইশক সুবান আল্লাহর ডাবিং শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন।
গরমের ছুটিতে মামার বাড়ির গল্প (Writwik Mukherjee)
পড়েছে তীব্র গরম (Writwik Mukherjee)। দক্ষিণের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের কাছে। গরম পড়া মানেই স্কুলের বাচ্চারা অপেক্ষায় থাকে কবে স্কুলে গরমের ছুটি পড়বে। আর তেমনভাবেই ছোটবেলায় ঋত্বিকও অপেক্ষায় থাকতেন স্কুলের গরমের ছুটির জন্য। তিনি জানিয়েছেন, স্কুলে গরমের ছুটি পড়লেই তিনি মায়ের সাথে ব্যাগ প্যাক করে পৌঁছে যেতেন মামার বাড়িতে। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ভোর ছটা থেকে উঠেই ক্রিকেটসহ আরও অন্যান্য খেলায় মেতে উঠতেন ছোট্ট ঋত্বিক।
ছেলেবেলা বড্ড মিস করেন অভিনেতা
গরম পড়লেই লোডশেডিং হওয়ার ধুম লেগে থাকে। অতীতে এই ঘটনার চল থাকলেও বর্তমানে তা খানিকটা কম। কয়েক বছর আগেও লোডশেডিং হলে বাড়িতে জ্বালানো হতো লন্ঠন। তবে এখন আর এই লণ্ঠন কালচারটা প্রায় উঠে গিয়েছে। ঋত্বিকও তাঁর ছোটবেলার হ্যারিকেন কালচারটা কে বড্ড মিস করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে দেখা যেত হ্যাজাক লাইট। যা এখন প্রায় বিলুপ্তপ্রাপ্ত। এই লাইট জ্বালানোর প্রক্রিয়াও তাঁর মনের মণিকোঠায় আজও জীবিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Rhea Chakraborty: জীবন বাজি রেখে বাবার লড়াই! যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রিয়ার বড় বার্তা
ছোট্ট ঋত্বিকের আম কুড়ানোর গল্প
গরমে বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে দেখা যায় বাড়িতে বাড়িতে আম গাছ। আর সেই গাছ থেকে পাড়ার ছেলেরা আম পেড়ে খেতে বড়ই ভালোবাসে। ঋত্বিকের ছোটবেলাটাও ঠিক এমন ভাবেই সাদামাটা কেটেছে । মামার বাড়িতে গিয়ে গাছ থেকে আম পেড়ে খাওয়া সে এক আলাদা আনন্দ। আম দিয়েই শুরু করতেন ব্রেকফাস্ট। অনেক সময়ই উঠোনে মশারি খাটিয়েও শুয়েছেন তিনি। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই তাঁর ছোটবেলা কেটেছে। তবে এখন আর ছোটবেলাটা ফিরে পাওয়া যায় ন।। মাঝেমধ্যে এই ছোটবেলায় বড়ই ফিরে যেতে ইচ্ছা করে তাঁর।
গরমের ছুটিতে খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনা করতে হতো ঋত্বিককে। না হলে খেতে হতো মায়ের বকা। প্রায় প্রত্যেকদিন ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করতেন তিনি। পড়াশোনার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উঠে আসে তাঁর ছোটবেলার দুষ্টুমির কথা। বলেন “ ছোট বেলাই যথেষ্ট দুষ্টুমি করতেন তিনি, একই সঙ্গে কখনও বেলুঞ্চি আবার কখনও লাঠির বারিও পড়ত পিঠে। বড় হয়ে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে দুষ্টুমি’। তাঁর মতে “ছোটোতে সব বাচ্চাই দুষ্টুমি করে, এটাই সহজাত প্রবৃত্তি, তারপর পৃথিবীটাকে মানুষ যত বুঝতে পারে, ততো দুষ্টুমি কমতে থাকে”।
আরও পড়ুন: Ranita Das: ছোট পর্দায় ‘বাহামণি’র কামব্যাক, রনিতার হাতেই ফাঁস তারকাদের হাঁড়ির খবর!
খানিকটা আক্ষেপের সুরও দেখা গেল আদিদেবের গলায়, তাঁর মতে আনন্দী ধারবাহিকের সঙ্গে পথ যদি না শেষ হয় ধারাবাহিকের তুলনা করা চলে না, যেটা অনেক দর্শকরাই করছেন। তিনি তুলনা করাটা পছন্দ করেন না বলেও জানিয়েছেন ।
মাদার্স ডে কি সেলিব্রেট করেন?
অভিনেতার কথায় “প্রত্যেক দিন মায়েদের যত্ন নেওয়া উচিত, মাদার্স ডে আসলে মনে করিয়ে দেয় রোজ একটু একটু করে যত্ন নিতে হবে মায়েদের জন্য, সেটা থাকলেই যথেষ্ট, নাহলে সারাবছর যত্ন না করে শুধু ঘটা করে মাদার্স ডে পালনের কোনও মানে নেই”।