ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে (Yoon Suk Yeol) সামরিক আইন জারি করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে দেশটির আদালত। চলতি মাসের শুরুতে নিজের বাসভবন থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর এবার আদালত তাঁকে এই গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত করে। উল্লেখযোগ্য, ইউন সুক-ইওল দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট, যাকে পদে থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে এবার শাস্তির পালা? (Yoon Suk Yeol)
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মুখপাত্র হান মিন-সু রবিবার (Yoon Suk Yeol) এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘ইওল সে সময় দেশের বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এখন সেই নেতার শাস্তির পালা।’’ তাঁর মন্তব্যে ইওলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের গুরুত্বের প্রতি ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট। যদিও তার আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, ইওলকে বেআইনি ভাবে হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে সম্প্রতি আদালতের তরফ থেকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, ও তা প্রমাণিত হয়েছে।
ঘটনার দিনক্ষণ (Yoon Suk Yeol)
গত ৩ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার (Yoon Suk Yeol) সময় ইউন সুক-ইওল ঘোষণা করেছিলেন, তিনি সারা দেশে সামরিক আইন জারি করেছেন। তাঁর দাবি ছিল, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের সমর্থনে বিরোধীরা দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে এবং দেশের সুরক্ষার জন্য সামরিক আইন জরুরি। তবে বিরোধী দলগুলো অভিযোগ তুলেছিল যে, সামরিক আইন জারির মাধ্যমে তিনি দেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Pori Moni: ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেফতারি পরোয়ানার মুখে পরীমনি
ইওলের বরখাস্তের পক্ষেই অধিক ভোট
এ প্রসঙ্গে, গত ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইওলের বিরুদ্ধে বরখাস্তের পক্ষে ভোট দেয় অধিকাংশ আইনপ্রণেতা। এর পরই, দুর্নীতি দমন শাখা ইওলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার প্রস্তাব দেয়, এবং শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া আদালত তাঁকে অভিযুক্ত করে। ইওলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং সামরিক আইন জারির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ। এই ধরনের অপরাধ প্রমাণিত হলে, ইওলের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের মতো গুরুতর শাস্তি হতে পারে।
গ্রেফতারের দিন
গ্রেফতার হওয়ার পর, গত ১৫ জানুয়ারি পুলিশের দ্বিতীয় চেষ্টায় ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন শাখার যৌথ উদ্যোগে তাঁর সরকারি বাসভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিওরিটি সার্ভিস (পিএসএস)-এর কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গ্রেফতারিতে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল।