ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ — সংশোধিত ওয়াকফ আইন (Yusuf Pathan) ঘিরে জেলায় যখন টানটান উত্তেজনা, অশান্তি, এমনকি মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে, সেই সময় ইনস্টাগ্রামে এক কাপ চা হাতে ‘ফুরফুরে বিকেল’ কাটানোর ছবি পোস্ট করে বিতর্কের মুখে পড়লেন বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ও প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পঠান।
চায়ের কাপ হাতে ইউসুফ (Yusuf Pathan)
শুক্রবার যখন মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন অংশে— বিশেষ করে (Yusuf Pathan) জঙ্গিপুর, সুতি, শমসেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ছে, পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ— সেই সময় ইউসুফের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ধরা পড়েছে এক শান্ত, নিরিবিলি বিকেলের ছবি। চায়ের কাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ইউসুফ লিখেছেন, “ফুরফুরে বিকেল, সুন্দর চা আর শান্ত পরিবেশ। মুহূর্তের সঙ্গে মিশে যাচ্ছি।” সঙ্গে ছিল একটি ইংরেজি গানও।
শুরু সমালোচনার ঝড় (Yusuf Pathan)
এই পোস্টের পরেই শুরু হয় সমালোচনার (Yusuf Pathan) ঝড়। বিরোধী দলগুলি দাবি করেছে, একজন সাংসদ হিসেবে ইউসুফ পঠানের এই উদাসীনতা গ্রহণযোগ্য নয়। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তিনি একজন ক্রিকেটার, রাজনীতিক নন। তৃণমূল তাঁকে শুধু ধর্মীয় পরিচয় কাজে লাগানোর জন্য প্রার্থী করেছিল। তাঁর মুর্শিদাবাদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই।”
তৃণমূলের অন্দরেও অসন্তোষের সুর (Yusuf Pathan)
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “জেলায় হিংসা, আতঙ্ক, আর সাংসদ চায়ে চুমুক দিচ্ছেন! এটা বাঙালির অপমান।”এমনকি তৃণমূলের অন্দরেও অসন্তোষের সুর শোনা গেছে। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমি ইউসুফের হয়ে প্রচার করাতে রাজি ছিলাম না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় (Yusuf Pathan) রাজি হই। কিন্তু এখন স্পষ্ট— ওঁর কোনও দায়বদ্ধতা নেই।”

সিপিএম-এর কটাক্ষ
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এই ধরনের তারকা প্রার্থীরা রাজনীতি করেন না, করেন অ্যাসাইনমেন্ট। তাই মানুষের কষ্ট, হিংসা— কিছুতেই তাঁদের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।” তবে ইউসুফের পোস্টে শুধু নিন্দা নয়, প্রশংসাও এসেছে। অনেকেই পোস্টটি ‘লাইক’ করেছেন, এমনকি সচিন তেন্ডুলকরও রয়েছেন সেই তালিকায়।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চান? খাওয়াদাওয়া বাদ নয়, চাই বুদ্ধিমানের মতো প্ল্যান!
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও প্রশ্ন উঠেছে— শুধু জনপ্রিয়তার জোরে ভোটে জিতে এলেও, কতটা দায়বদ্ধ থাকেন তারকা প্রার্থীরা? ইউসুফ পঠানের পোস্ট যেন সেই প্রশ্নেরই প্রতীক হয়ে উঠেছে, এক অস্থির সময়ের নিরব ছবি হয়ে।