ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জেলেনস্কি যখন একটি পুরষ্কার অনুষ্ঠানে ছিলেন, তখন তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার তর্কের কথা উল্লেখ করে এই বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করেছিলেন (Zelenskyy and White House)।
“যুদ্ধ শেষ হলে সুট পরব” – জেলেনস্কি (Zelenskyy and White House)
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রবিবার ব্যঙ্গাত্মকভাবে মন্তব্য করেন যে, হোয়াইট হাউসে সুট না পরার জন্য তাঁকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়েছিল (Zelenskyy and White House)। প্রেসিডেন্সির প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভাষণ শেষে জেলেনস্কি দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “দুঃখিত, আমি সুট পরিনি”। তাঁর এই মন্তব্যে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল ওঠে এবং করতালি পড়ে।
যুদ্ধের পরই সুট পরবেন জেলেনস্কি (Zelenskyy and White House)
জেলেনস্কি কালো পোশাক পরেছিলেন, যার ওপর ইউক্রেনের ত্রিশূল প্রতীক ছিল (Zelenskyy and White House)। গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের সময়ও তিনি এমন পোশাক পরেছিলেন। রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকেই জেলেনস্কি সাধারণ সুট ছেড়ে সামরিক স্টাইলের পোশাক পরতে শুরু করেন। সাধারণত খাকি বা কালো রঙের টি-শার্ট এবং ফ্লিস জ্যাকেট পরেন তিনি। এই পোশাক তাঁর উপস্থিতিকে অন্য নেতাদের থেকে আলাদা করে তোলে এবং যুদ্ধরত দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর অবস্থানকে জোরালোভাবে তুলে ধরে। তাঁর টিমের অন্যান্য সদস্যরাও একই স্টাইল অনুসরণ করেন।
ট্রাম্পের কটাক্ষ – “আজ তো বেশ সেজেগুজে এসেছেন”
তবে, হোয়াইট হাউসে ওভাল অফিসে বৈঠকের সময় ডানপন্থী সাংবাদিক ব্রায়ান গ্লেন ব্যঙ্গ করে জেলেনস্কিকে প্রশ্ন করেন, তিনি কেন সুট পরেননি। এর উত্তরে জেলেনস্কি ক্লান্ত স্বরে বলেন, “যুদ্ধ শেষ হলে সুট পরব”। এই সংলাপটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: Fact Check: বিশালাকার এই পাথরের সঙ্গে ইজিপ্টে তৈরি পিরামিডের কোনও সম্পর্ক নেই
মার্কিন সংবাদমাধ্যম Axios জানায়, ট্রাম্প জেলেনস্কির পোশাক নিয়ে বিরক্ত হন। তাঁর উপদেষ্টারা নাকি জেলেনস্কিকে বলেছিলেন, সুট পরা বেশি সম্মানজনক হবে। যখন জেলেনস্কি বৈঠকে প্রবেশ করেন, তখন ট্রাম্প ব্যঙ্গ করে বলেন, “আজ তো বেশ সেজেগুজে এসেছেন”, তারপরই তিনি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান।
আরও পড়ুন: Syria Conflict: সিরিয়ার রাস্তায় পড়ে মৃতদেহ, পরিচয় পত্র যাচাই করেই গুলি!
ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া – “মধ্যযুগেও এমন হতো না”
ওভাল অফিসের বৈঠক নিয়ে রাশিয়ার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রবিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নিজের প্রতিক্রিয়া দেন. তিনি বলেন, “আমি পেশাদার কূটনীতিক হিসেবে নিজের চোখ-কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।” পেসকভ আরও দাবি করেন, “প্রাচীনকালে কোনো শাসক যখন বিদেশ সফরে যেতেন, তখন তাঁর শিরশ্ছেদ করা হতো বা কারাগারে পাঠানো হতো। কিন্তু মধ্যযুগের পর থেকে এমন ঘটনা ঘটেনি।”