ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন(Zohran Mamdani in Controversy)। নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সেই সাহসী কর্মকর্তার নাম দিদারুল ইসলাম (৩৬)। মিডটাউন ম্যানহাটনের একটি অফিস ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন তিনি। আর এই ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছেন নিউইয়র্কের মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি।
বিতর্কে জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani in Controversy)
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন , দিদারুল বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন(Zohran Mamdani in Controversy)। তার দু’টি সন্তান এবং তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা, তারা তৃতীয় সন্তানের প্রত্যাশায় ছিলেন।এই আবহে বিয়ে সেরে উগান্ডা থেকে ফিরে দিদারুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন নিউইয়র্কের মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি।নেপথ্যে ২০২০ সালে তাঁর বিতর্কিত ‘পুলিশের তহবিল বন্ধ করুন’ পোস্ট।এক্স পোস্টে জোহরান মামদানি লেখেন, ‘দুই দিন আগে, এক অর্থহীন সহিংসতার ঘটনায় অফিসার দিদারুল ইসলাম, ওয়েসলি লেপ্যাটনার, অ্যাল্যান্ড এটিয়েন এবং জুলিয়া হাইম্যানের প্রাণহানি ঘটে।আমি অফিসার ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি এবং তার উত্তরাধিকার সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই চারজন নিউ ইয়র্কবাসীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমি আপনাদের সকলকে আমার সঙ্গে যোগ দিতে অনুরোধ করছি।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ (Zohran Mamdani in Controversy)
এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা(Zohran Mamdani in Controversy)। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘জোহরান মামদানি একজন প্রতারক হিসেবে উন্মোচিত হয়েছেন। পুলিশকে উপহাস করছেন, তাদের বর্ণবাদী বলছেন, তারপর এমন আচরণ করছেন যেন তিনি কত চিন্তা করেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাঁর কোনও আনুগত্য নেই। তিনি উগান্ডার বাসিন্দা, নিউ ইয়র্ক সিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন না। তাকে নির্বাসিত করা উচিত এবং আমাদের শহরকে রক্ষা করুন!’ অন্যদিকে, আরেক একজন জোহরান মামদানির ২০২০ সালের পোস্টের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন যেখানে ‘#DefundTheNYPD’ হ্যাশট্যাগটি রয়েছে।
জোহরান মামদানির বক্তব্য (Zohran Mamdani in Controversy)
এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘একটু ভাবুন, যদি আপনি আপনার ইচ্ছামতো পুলিশকে তহবিল থেকে বঞ্চিত করতেন তাহলে কী হতো?’ আবার একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আর আপনি কি পুলিশের তহবিল থেকে বঞ্চিত করতে চান?’ নিউ ইয়র্কের হামলার সময় মামদানি তার বিয়ের জন্য উগান্ডায় ছিলেন(Zohran Mamdani in Controversy)। বুধবার তিনি ফিরে আসেন এবং ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। পরে তিনি বলেন, ‘আজ সকালে আমি নিউ ইয়র্ক সিটিতে ফিরেই সরাসরি অফিসার ইসলামের বাড়িতে যায়, যেখানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি, ছোট-বড় সবাই তাদের ছেলে, ভাই, বাবা, স্বামী, বন্ধুর মৃত্যুতে শোকাহত। এমনভাবে মনে ভেঙেছে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রায় এক ঘন্টা একসঙ্গে কাটিয়েছি, কিছু মুহূর্ত আমার মনে দাগ কেটে গিয়েছে।’

আরও পড়ুন-Malegaon Blast Case: মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ ৭ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস
জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani in Controversy)
জোহরান একজন ডেমোক্র্যাট। তাঁর পূর্বপুরুষরা ভারত থেকে চলে এসে প্রথমে উগান্ডা এবং পরে আমেরিকায় বসবাস শুরু করেছিলেন(Zohran Mamdani in Controversy)। তিনি বলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ারের ছেলে। মামদানির ‘কমিউনিস্ট’ ধারণা ছিল প্রত্যেক নিউ ইয়র্কবাসীর জীবনকে উন্নত করা। নির্বাচনী প্রচারে তিনি বিনামূল্যে বাস পরিষেবা, ৩০ ডলার ন্যূনতম মজুরি, বাড়ি ভাড়া কমানো ও শিশুদের যত্নের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের একটি নিবেদিতপ্রাণ দল ঘরে ঘরে গিয়ে তাঁর হয়ে প্রচার চালিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তিশালী প্রচার এতটাই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে যে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুওমো লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যয় করেও পরাজিত হয়েছেন।
