ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গতকাল সাত সকালে শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station) থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছ’টি আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেফতার করা হয়েছে মালদহের যুবককে। ধৃত যুবকের নাম হাসান শেখ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ওই যুবক মালদহের বাসিন্দা। বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি নিয়ে আসছিলেন তিনি। তবে তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এল, কেন সেগুলি কলকাতায় আনা হচ্ছিল সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। কিন্তু তার প্রতিবেশীরা এই কথা জানতেই তাজ্জব হয়ে গেল।
ছ’টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং আট রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার (Sealdah Station)
সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ হাটেবাজারে এক্সপ্রেস শিয়ালদহে (Sealdah Station) এসে থামতেই ট্রেন থেকে নামেন হাসান। তাঁকে দেখে সন্দেহ হয় এসটিএফের তদন্তকারীদের। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে একে একে ছ’টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং আট রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। জামাকাপড়ের ভিতর ওই অস্ত্র লুকিয়ে রাখা ছিল। এর পরেই হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী রাজ্য বিহার থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল।
হাটেবাজারে এক্সপ্রেসে শহরে (Sealdah Station)
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম, হাসান শেখ (Sealdah Station)। সে মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা। তার ব্যাগ থেকে ছ’টি আগ্নেয়াস্ত্র ও আটটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। বিহারের মানসিং জেলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি সড়কপথে মালদহে নিয়ে আসা হয়। এরপর হাটেবাজারে এক্সপ্রেসে শহরে পৌঁছয়। কোথায় এই আগ্নেয়াস্ত্র সে নিয়ে যাচ্ছিল, এর ভিতরে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
হাসান একজন পোশাক ব্যবসায়ী
হাসানের প্রতিবেশীরা দাবি করেন, তাঁরা সবাই তাকে ‘ভালো মানুষ’ বলেই জানেন। কিন্তু সোমবার সকালে বাসিন্দারা জানতে পারেন, পাড়ার সেই ছেলেই প্রচুর অস্ত্র নিয়ে ধরা পড়েছে শিয়ালদহ স্টেশনে। খবর শুনেই তাজ্জব ফেরিওয়ালা হাসান শেখের প্রতিবেশীরা! তাঁদের পালটা প্রশ্ন, কবে থেকে সে পিস্তল, পাইপগান, থ্রিনাট, বন্দুক, রিভলভারের ব্যবসা করছে? তাঁরা তো হাসানকে একজন পোশাক ব্যবসায়ী বলেই জানতেন। কিন্তু তার থেকে মিলেছে ছ’টি আগ্নেয়াস্ত্র, আটটি কার্তুজ। এতেই হতবাক পাড়ার সবাই।
‘ওকে ভালো মানুষ বলেই জানি’
হাসানের বউদি শেলি বিবি বলেন, “হাসান আমার নিজের দেওর। ও রেডিমেড পোশাক, কাপড়ের ফেরি করে বেড়ায় নেপাল, বিহার, শিলিগুড়িতে। বিহারের মধুবনিতে কাপড়ের আড়ত আছে। বাড়িতে ওর স্ত্রী আছে। তিন মেয়ে আর এক ছেলে আছে ওর। খুব গরিব পরিবার।” দিন দশেক আগে বিহারের মধুবনি থেকে বাড়ি ফিরে আসে হাসান। রবিবার সন্ধ্যায় সে কালিয়াচক সদর স্ট্যান্ডে যায়। স্ত্রীকে বলেছিল, কাজ আছে। কিন্তু রাতে হঠাৎ তার মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। সকালে শুনলাম, কলকাতায় ওকে পুলিশ ধরে নিয়েছে। ওর কাছে অনেকটি পিস্তল, থ্রিনাট পেয়েছে পুলিশ। শেলি বিবির আরও বক্তব্য, “আমরা সবাই ওকে ভালো মানুষ বলেই জানি। কিন্তু লোভে পড়ে হয়তো এই পথে নেমে গিয়েছে।” তবে কি হাসান কে ফাঁসানো হয়েছে? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।