ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশ্বে দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ছে, সেইসাথে পেঙ্গুইনদের মধ্যেও ‘ডিভোর্স’ (Penguin Divorce Rate) প্রবণতা বাড়ছে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে। একদিকে যেমন মানুষের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে, তেমনি পেঙ্গুইনদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনও বেড়েছে। গত ১১ জানুয়ারি,ইকোলোজি অফ ইভোলিউশন নামক এক জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।
সঙ্গমের ঋতুতে বাড়ছে ডিভোর্স (Penguin Divorce Rate)
গবেষকরা জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার ফিলিপ আইল্যান্ডের (Penguin Divorce Rate) পেঙ্গুইনদের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। পেঙ্গুইনরা সাধারণত এক সঙ্গীর সঙ্গেই জীবন কাটাতে অভ্যস্ত, কিন্তু এখন তারা অন্য সঙ্গীর খোঁজে বেরিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সঙ্গমের ঋতুতে দীর্ঘদিনের সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার বদলে নতুন সঙ্গী বেছে নিচ্ছে। এই প্রবণতা দীর্ঘ দশ বছরের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, যেখানে ১০০০ পেঙ্গুইন জোড়ার মধ্যে ২৫০ জোড়া ডিভোর্স হয়ে গেছে।
পরিবেশগত কারণেই এই অবস্থা! (Penguin Divorce Rate)
গবেষকরা জানিয়েছেন, পেঙ্গুইনদের মধ্যে এই পরিবর্তনের পেছনে পরিবেশগত কারণও রয়েছে (Penguin Divorce Rate)। পরিবেশের পরিবর্তন এবং খাদ্য সংকটের কারণে পেঙ্গুইনদের প্রজনন ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর এটাই তাদের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলছে। বিশেষত, সঙ্গমের ঋতুতে যদি প্রজনন সফল না হয়, তবে তারা পরের ঋতুতে নতুন সঙ্গীর খোঁজে বেরিয়ে যায়। এই কারণে পেঙ্গুইনদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ছে এবং অনেক সময় সঙ্গীও বদলে ফেলছে তারা।
আরও পড়ুন: Death Fish: এই মাছ চোখে দেখলেই বিপদ, হয় লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু!
গবেষকদের মতামত
গবেষক রিচার্ড রেইনা জানিয়েছেন, “১০০০ পেঙ্গুইন জোড়ার ওপর নজরদারি চালানোর পর দেখা গেছে, ২৫০ জোড়া ডিভোর্স হয়েছে। তবে যাদের মধ্যে প্রজনন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে, তাদের সম্পর্ক ভালোই আছে।” তিনি আরও বলেন, পরিবেশের পরিবর্তনের কারণে পেঙ্গুইনদের আচরণে এই পরিবর্তন ঘটছে, যা প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে প্রভাবিত করছে।

বিলুপ্তির পথে পেঙ্গুইন?
পেঙ্গুইনরা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের প্রতি বিশ্বস্ত থাকে, কিন্তু বর্তমানে পরিবেশের পরিবর্তন এবং খাদ্য সংকট তাদের সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, এটি প্রাণীজগতের জন্য একটি সতর্কতা সংকেত, যে পরিবেশের পরিবর্তন তাদের সম্পর্ক এবং প্রজনন ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একটি প্রাণীর প্রজনন ক্ষমতা যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তার অপত্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে এগোতে থাকে সেই প্রজাতি।