ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নতুন বছরের শুরুতেই ভাগ্য বদল শুরু হয়ে গেল পশ্চিম এশিয়ার একটি দেশের (Petroleum Reserve)। মিলেছে মাটির নীচে লুকিয়ে থাকা বিপুল পরিমাণ ‘গুপ্তধন’। পশ্চিম এশিয়ার টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস নদীর তীরে মিলেছে মাটির গভীরে লুকিয়ে থাকা বিপুল পরিমাণে ‘তরল সোনা’। এ’জন্যই বিশেষজ্ঞদের একাংশ স্পষ্ট করেছেন পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির অর্থনৈতিক ভাগ্য দ্রুত বদলাতে চলেছে। যার প্রভাব পড়বে গোটা আরব দুনিয়ার উপরেই।
নতুন তেল ভাণ্ডার আবিষ্কার (Petroleum Reserve)
এবছরের শুরুতেই মাটির গভীরে লুকিয়ে থাকা ‘গুপ্তধন’ পাওয়া দেশটি হল ইরাক (Petroleum Reserve)। যেখানে পাওয়া গিয়েছে একটি অপরিশোধিত খনিজ তেলের কুয়ো। গত ২০ জানুয়ারি নতুন এই ‘জ্যাকপট’ খুঁজে পাওয়ার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন একটি অপরিশোধিত খনিজ তেলের কুয়ো আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছে ইরাকের তেল সংস্থা ‘ইরাকি মিডল্যান্ড অয়েল’ বা ‘আইএমও’।
কোথায় রয়েছে নতুন তেল খনি? (Petroleum Reserve)
নতুন এই অপরিশোধিত ‘তরল সোনা’র খনিটি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের পূর্ব দিকে অবস্থিত রয়েছে বলে জানা গেছে (Petroleum Reserve)। ইরানি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট সুত্রে জানা গেছে, নতুন আবিষ্কৃত হওয়া এই তেলের খনিটিতে ২০০ কোটি ব্যারেল হালকা এবং মাঝারি শ্রেণির অপরিশোধিত খনিজ তেল জমা রয়েছে। ‘ইরাকি মিডল্যান্ড অয়েল’-এর ডিরেক্টর জেনারেল মহম্মদ ইয়াসিন হাসান জানিয়েছেন, ওই কূপটি থেকে দিনে পাঁচ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত ‘তরল সোনা’ উৎপাদন করা যেতে পারে।
ইরাকের তেল ভাণ্ডার
ইরাকে রয়েছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ খনিজ তেলের ভান্ডার। তেল রফতানিকারী দেশগুলির আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘অর্গানাইজ়েশন অফ পেট্রলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ়’ বা ওপেকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হল বাগদাদ। ‘খনিজ তেল’- উত্তোলনের দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে সৌদি আরব। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইরাক। ইরাক সরকারের দেওয়া তথ্য দাবি, বর্তমানে ইরাকের কাছে মজুত রয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল। পশ্চিম এশিয়ায় মোট জমে থাকা ‘তরল সোনা’র ১৭ শতাংশের মালিকানা আছে ইরাকের কাছে। নতুন তৈলক্ষেত্র আবিষ্কারের পর অনেকটাই বাড়ল সেই মজুত তেলের পরিমাণ।
বাড়ছে তেল মজুত
ইরাকের নতুন তেলের ভান্ডারে এত তেল মজুত রয়েছে যে অনেকেই মনে করছেন এবার আরবের সঙ্গে ইরাকের তেল ভান্ডারের সঞ্চয়ের ফারাক কমবে। অনেকে বিশ্লেষকদের দাবি, তেলের কূয়ো আবিষ্কার ইরাকের অর্থনীতিতে নতুন জোয়ার আনতে পারে। কেননা পশ্চিম এশিয়ার দেশটির ৯০ শতাংশ রাজস্ব আসে ‘খনিজ তেল’ রফতানি থেকে। আর এজন্যই ইরাকের আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইরাকি মিডল্যান্ড অয়েল’ একটি বিবৃতিতে নতুন তেল খনির হদিস মেলাকে কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।
উন্নত হচ্ছে পরিকাঠামো
‘ইরাকি মিডল্যান্ড অয়েল’ -এর ডিরেক্টর জেনারেল ইয়াসিন হাসান বলেছেন, নতুন তেলের খনির হদিস মেলায় উৎপাদন এবং মজুত দুটোই আমরা বাড়াতে পারব। জানা গেছে ১৬ হাজার কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল মজুতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বাগদাদ। বাগদাদ জানিয়েছে, ২০২৮ সালের মধ্যে দৈনিক পরিশোধিত তেল উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ লক্ষ ব্যারেল। সে কথা মাথায় রেখে ‘খনিজ তেল’ উত্তোলনের পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে।