ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চিন তৈরি করেছে (Chinese AI) কম দামে শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল ‘ডিপসিক-আর১’, যা গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। এই প্রযুক্তির কারণে, বিশ্বের প্রথম সারির এআই চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘এনভিডিয়া’ সহ আমেরিকার শেয়ার বাজারে বড় ধাক্কা এসেছে।
বিরাট ক্ষতি আমেরিকার শেয়ার বাজারে (Chinese AI)
২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি, ‘ডিপসিক-আর১’ আত্মপ্রকাশের পরেই (Chinese AI) আমেরিকার শেয়ার বাজারে একদিনে প্রায় ৬০ হাজার কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০ লক্ষ কোটি টাকা) ক্ষতি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন এভাবে এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলে, শীঘ্রই আমেরিকার একচেটিয়া আধিপত্যে থাবা বসাবে।
কম খরচে ওপেন সোর্স রিজনিং মডেল (Chinese AI)
চিন তার নতুন ‘ডিপসিক-আর১’ মডেলটি ২০ জানুয়ারি (Chinese AI) প্রকাশ করেছে, যা একটি ওপেন সোর্স রিজনিং মডেল। অর্থাৎ, এটি বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ, আর এর দামও অনেক কম। এই মডেলটি ওপেনএআই-এর ‘চ্যাটজিপিটি’ প্রযুক্তির অনুরূপ, কিন্তু ‘ডিপসিক-আর১’ তৈরি করতে চিন যে খরচ করেছে, তা অনেক কম। ‘ডিপসিক-আর১’ তৈরির খরচ আমেরিকার ওপেনএআইয়ের ‘জিপিটি-৪’ মডেলের তুলনায় অনেক কম, যার ফলে প্রযুক্তির বাজারে চিন একটি নতুন প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করেছে।
বাজারে নতুন রেকর্ড (Chinese AI)
ডিপসিক-আর১ এর আত্মপ্রকাশের পর, আমেরিকার (Chinese AI) শেয়ার বাজারে একদিনেই বড় পতন ঘটেছে। ‘এনভিডিয়া’, ‘ব্রডকম’, ‘গুগল’ এবং ‘মাইক্রোসফট’ সহ অন্যান্য বড় টেক কোম্পানির শেয়ার দাম প্রায় ৩-১৭ শতাংশ কমে গেছে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন এই বড় পতন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজারের ইতিহাসে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। এআই চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘এনভিডিয়া’র শেয়ার ১৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ৬০ হাজার কোটি ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
আমেরিকার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ চীনের
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে চলতে থাকলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজারে শীঘ্রই চিন আমেরিকার আধিপত্যে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এমনকি, নতুন প্রযুক্তি ও কম খরচের মডেল নিয়ে চিন এআই প্রযুক্তির প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব নিতে সক্ষম হবে। আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছেন, ‘ডিপসিক’ বাজারে যে ঝড় তুলেছে, তা আমেরিকান সংস্থাগুলির জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করা উচিত।
‘ডিপসিক-ভি৩
এদিকে, চিন এর আগে ‘ডিপসিক-ভি৩’ নামের একটি কম খরচের এআই প্রযুক্তি তৈরি করেছিল, যার খরচ ছিল মাত্র ৫৬ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা)। অন্যদিকে, ওপেনএআইয়ের ‘জিপিটি-৪’ মডেল তৈরিতে এখনও পর্যন্ত ১০ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে। এই সবকিছুই প্রমাণ করে যে চিন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তার শক্তি এবং খরচের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেছে, যা ভবিষ্যতে আমেরিকার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
বিরতিহীন সাফল্য
আমেরিকা যদিও এনভিডিয়া চিপ রফতানি চিন বন্ধ করে দিয়েছে, তাতে ‘ডিপসিক’ এর সাফল্যে কোনও বিরতি আসেনি। বরং, চিন এখন পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে আমেরিকাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।