ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে (Redundancy In America) দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সরকারি কর্মীদের কাজ থেকে বরখাস্ত করার হিড়িক। বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। ইতিমধ্যেই ২০ লক্ষ কেন্দ্রীয় কর্মচারীকে আট মাসের বেতন নিয়ে স্বেচ্ছাবসরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশের পর ৬৫ হাজার কর্মচারী অবসর নিয়েছেন।
বিভিন্ন দেশে বন্ধ ত্রাণ (Redundancy In America)
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ শুধু সরকারি (Redundancy In America) কর্মচারীদেরই নয়, গবেষণা ও উন্নয়ন খাতেও প্রভাব ফেলছে। ইউএসএআইডি (USAID)-এর মতো সংস্থাগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে ত্রাণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থার কর্মীসংখ্যা ১০ হাজার থেকে কমিয়ে মাত্র ৬০০-র কাছাকাছি নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ধনকুবের ইলন মাস্কও এই উদ্যোগে সহায়তা করছেন। ইতিমধ্যেই ‘কনজিউমার ফিনান্সিয়াল প্রোটেকশন এজেন্সি’ বন্ধ হয়ে গেছে।
গবেষণা খাতেও চলছে ছাঁটাই (Redundancy In America)
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (NIH)-এর মতো সংস্থাগুলিও (Redundancy In America) বাজেট কাটছাঁটের শিকার হয়েছে। এই সংস্থা জৈব-চিকিৎসা (বায়োমেডিক্যাল) গবেষণার জন্য বিশ্ববিখ্যাত। ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং প্রতিষেধক গবেষণার জন্য NIH-এর অনুদান একটি বড় ভূমিকা পালন করে। তবে সম্প্রতি এই গবেষণা খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। গবেষণার আনুষঙ্গিক খরচ, যেমন গবেষকদের বেতন, গবেষণাগারের যন্ত্রপাতি কেনা এবং প্রশাসনিক খরচও কমিয়ে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: US-Taiwan Navy Controversy: তাইওয়ান প্রণালীতে আমেরিকার রণতরী, তৎপর চিন!
অনুদানের শতাংশে কাঁটছাঁট!
হার্ভার্ড এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি গবেষণার জন্য আনুষঙ্গিক খরচের উপর নির্ভরশীল। হার্ভার্ডে এই খরচ প্রায় ৭০ শতাংশ, প্রিন্সটনে ৬৪ শতাংশ। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই খরচ ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসন এই আনুষঙ্গিক খরচ ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে গবেষণাগারগুলিতে অনুদানের অভাবে গবেষণার গতি ও মান কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব অ্যাটর্নি জেনারেলরা
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ২২টি প্রদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলরা। ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল বিচারক সাময়িকভাবে এই নির্দেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন। হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও যৌথভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। হার্ভার্ডের এক গবেষক জানিয়েছেন, আদালত দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে গবেষণার উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে।

দেশ ছাড়ার আশঙ্কা!
এই বাজেট কাটছাঁটের ফলে শুধু আমেরিকান গবেষকরাই নয়, বিদেশি ছাত্র-গবেষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গবেষণার কাজ না থাকলে তাঁরা ৬০ দিনের বেশি আমেরিকায় থাকতে পারবেন না। ফলে অনেক প্রতিভাবান গবেষককে দেশ ছাড়তে হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা খাতে প্রভাব
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আমেরিকার গবেষণা ও উন্নয়ন খাতের জন্য হুমকিস্বরূপ। গবেষণার গতি কমে গেলে শুধু আমেরিকাই নয়, বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা ও প্রযুক্তি খাতে এর প্রভাব পড়বে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আইনি লড়াই চললেও, এর ফলাফল কী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত।