ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রেমিকের হাতেই খুন হরিয়ানার কংগ্রেস নেত্রী হিমানি নারওয়াল (Congress Leader Himani)। পুলিশ সুত্রে জানা যাচ্ছে প্রেমিকের সাথে সারারাত কাটিয়ে পরদিন সকালে প্রেমিকের হাতে খুন হন তিনি। হত্যাকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে এল হিমানির দেহ লোপাটের সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যাচ্ছে হত্যার পর হিমানির দেহ কালো ট্রলিতে ভরে নিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত শচীন। এই ট্রলিই পুলিশ উদ্ধার করে গত শনিবার।
বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত শচীনের (Congress Leader Himani)
শচিন নামের ওই যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হিমানির (Congress Leader Himani)। জানা যায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পরিচয় তাদের। যা পরে প্রেমের রূপ নেয়। হিমানির যেখানে একা থাকতেন সেই বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল শচীনের। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতেও শচীন হিমানির সঙ্গে ছিলেন। পরদিন সকালে তীব্র বচসা হয় দুজনের। তারপরেই মোবাইলের চার্জের তার গলায় পেঁচিয়ে খুন করা হয় হিমানিকে। হিমানির ওড়না দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়েছিল হাত পা। শচিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে (Congress Leader Himani)
২৮ ফেব্রুয়ারি ঘটনার রাতের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে (Congress Leader Himani)। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি কালো রঙের একটি ট্রলিব্যাগ টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। রাত তখন সাড়ে ১০টা। পুলিশ তদন্ত করে দেখে ওই ব্যক্তি হিমানির প্রেমিক শচিন। তদন্তে জানা যাচ্ছে সেদিন রাত্রে হিমানিকে খুন করে তার গয়না, মোবাইল, ল্যাপটপ-সহ অন্যান্য দাবি জিনিস নিয়ে স্কুটিতে করে বাহাদুরগড়ে নিজের বাড়িতে যায়। পরে রাত ১০টা নাগাদ আবার হিমানির বাড়িতে এসে একটি অটো ভাড়া নিয়ে ট্রলি-সহ দেহ ফেলে আসে। ট্রলিব্যাগটি সকলের নজর এড়িয়ে হাইওয়ের ধারে আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিয়ে বাস ধরে দিল্লিতে পালিয়ে যান অভিযুক্ত।
ব্ল্যাকমেল করে লক্ষাধিক টাকা
২৮ ফেব্রুয়ারি কোনও একটি বিষয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হয়। তাঁদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। সেই সময় সচিনের হাতে চোট লেগে কেটে যায়। সেই রক্ত বিছানার চাদরে লেগে গিয়েছিল। প্রমাণ লোপাটের জন্য সেই চাদর হিমানীর দেহের সঙ্গে ট্রলিব্যাগে ভরেছিলেন সচিন। জেরায় অভিযুক্ত নিজেকে হিমানীর প্রেমিক বলে দাবি করেছেন। অভিযুক্ত এটাও দাবি করেছেন যে, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিলেন হিমানী। সেই রাগেই খুন করেন তিনি। তবে সে কারণেই কি খুন, না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।