ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিখ্যাত অভিনেত্রী নীতু চন্দ্র পাটনা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) দায়ের করে সঙ্গীতে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন (Case Against Yo Yo)। তার আবেদনে বিশেষভাবে গায়ক ইয়ো ইয়ো হানি সিংয়ের সর্বশেষ গান, ম্যানিয়াককে আক্রমণ করে এর আপত্তিকর বিষয়বস্তু উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, তিনি আদালতের কাছে এমন ভোজপুরি গান নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন যা নারী বিদ্বেষকে উৎসাহিত করে, কারণ এই যুক্তিতে যে তাদের কথা প্রায়শই নারীদের জন্য অবমাননাকর হয়।
হানি সিং-এর ‘ম্যানিয়াক’ গানের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা (Case Against Yo Yo)
বিখ্যাত অভিনেত্রী নীতু চন্দ্রা অশ্লীল গানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে পাটনা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করেছেন (Case Against Yo Yo)। তার অভিযোগের মূল লক্ষ্য গায়ক ইয়ো ইয়ো হানি সিং-এর নতুন গান ‘ম্যানিয়াক’। এই মামলায় শুধু হানি সিং নন, বরং গানের গীতিকার লিও গ্রেওয়াল এবং ভোজপুরি গায়ক রাগিনী বিশ্বকর্মা ও অর্জুন আজানাবিকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অশ্লীল হিন্দি ও ভোজপুরি গানের সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার দাবি (Case Against Yo Yo)
নীতু চন্দ্রার অভিযোগ, অশ্লীল গানের লিরিকস সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, বিশেষ করে স্কুলে পড়ুয়া মেয়েদের জন্য একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করছে (Case Against Yo Yo)। তিনি এই ধরনের গানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, এই ধরনের গান সমাজের উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং নারীদের প্রতি সম্মানহানির কারণ হতে পারে। তাই, তিনি কঠোর নিয়ম চালু করার দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন গান আর তৈরি না হয়।
‘ম্যানিয়াক’ গানের লিরিক পরিবর্তনের দাবি
পাটনায় জন্ম নেওয়া নীতু চন্দ্রা বলিউডের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসিত ভোজপুরি ও মৈথিলি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যে, ‘ম্যানিয়াক’ গানের অশ্লীল লিরিক পরিবর্তন করা হোক। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, গানটি অতিরিক্ত যৌনতা প্রদর্শন করে এবং নারীদের ‘কেবলমাত্র যৌন বস্তু’ হিসেবে উপস্থাপন করছে। পাশাপাশি, ভোজপুরি ভাষাকে অশ্লীলতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা নারীর ক্ষমতায়নের ধারণাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুন: Ranveer Allahbadia: NCW-এর সামনে হাজির রণবীর ও অপূর্বা, ক্ষমা চাইলেও আবার তলব করা হবে
“নারীরা রাস্তায় মাথা নিচু করে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে”
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীতু চন্দ্রা বলেন, “অশ্লীল ভোজপুরি ও হিন্দি গানগুলোর কারণে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে মাথা নিচু করে। এমনকি বাড়িতে টিভির সামনে বসতেও লজ্জা পাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আজকের দিনে অনেক গায়ক এই ধরনের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কিন্তু এই গানগুলো সমাজ ও দেশের উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।”
বিহারের জনগণের উদ্দেশ্যে আহ্বান
নীতু চন্দ্রা বিহারের জনগণের কাছে আবেদন করেছেন, যাতে তারা অশ্লীল গানের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেয়। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, “অশ্লীলতা প্রচার করা যেকোনো কনটেন্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত। এই ধরনের গান তৈরির জন্য গায়কদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”
আরও পড়ুন: Arijit Singh-Martin Garrix: অরিজিতের বাড়িতে মহামিলন, বিটের জাদুকর গ্যারিক্সের সাথে তুলবেন সুরের ঝড়
আইনি লড়াইয়ের নেতৃত্বে প্রবীণ আইনজীবী
নীতু চন্দ্রার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা (PIL) আনুষ্ঠানিকভাবে পাটনা হাইকোর্টে গৃহীত হয়েছে। এই মামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রবীণ আইনজীবী নিবেদিতা নির্ভিকার। নীতু চন্দ্রার আশা, এই আইনি পদক্ষেপ কঠোর নিয়ম চালু করতে সাহায্য করবে এবং সংগীতে নারীদের আরও সম্মানজনক উপস্থাপনা নিশ্চিত করবে।