ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিমান অবতরণের পর (Basic Etiquette) যাত্রীদের নামার সময়টা প্রায়ই এক ধরনের ছোটখাটো সংঘর্ষের মঞ্চে পরিণত হয়। সবাই তাড়াহুড়ো করে আগে নামতে চায়, সামনের যাত্রীরা একটু ধীর গতিতে নামলে পেছনের যাত্রীরা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেয়। এমন অব্যবস্থার জন্য বিমানে যাত্রীরা প্রায়শই সমস্যায় পড়ে। আর এসব ঝামেলার পেছনে রয়েছে ‘আইল লাইস’ বা সেই ধরনের যাত্রীদের আচরণ, যারা অন্যদের সুবিধা-অসুবিধার খেয়াল না রেখে নিজের মতো করে সবার আগে নামার চেষ্টা করে। এই অভদ্রতা কখনও কখনও শারীরিক ধাক্কাধাক্কিতে রূপ নেয়, যা বিমানের সুরক্ষা ও আরাম দুটোই বিঘ্নিত করে।
নতুন এক কঠোর পদক্ষেপ (Basic Etiquette)
তুরস্ক এবার এই সমস্যার সমাধানে নতুন এক কঠোর (Basic Etiquette) পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এমন যাত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে, যারা বিমানে নামার সময় সহবত মানতে অস্বীকার করে। তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপের কথাও বলা হচ্ছে। যদিও নির্দিষ্ট জরিমানার পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি, তবে দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী এক একজন অপরাধীর উপর প্রায় ২,৬০৩ লিরা জরিমানা ধার্য হতে পারে, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫৭০০ টাকার সমান।
যথাযথ সতর্কতা (Basic Etiquette)
এই নিয়মের মূল উদ্দেশ্য হল বিমানের যাত্রী ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা (Basic Etiquette) এবং নামার সময় ঝামেলা কমানো। বিমানের অভ্যন্তরে যাত্রীরা যেন একে অপরের প্রতি ধৈর্যশীল ও ভদ্র আচরণ বজায় রাখে, সেই চেষ্টাই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে। বিমানের কর্মীদেরও এখন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিয়ম ভঙ্গের ক্ষেত্রে যথাযথ সতর্কতা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
বিমানে অবিচ্ছিন্ন পরিবেশ ভেঙে পড়ে
যাঁরা দ্রুত নামতে গিয়ে আগে সিটবেল্ট খুলে পড়েন, টোকরো থেকে মালপত্র বার করার সময় অসুবিধা সৃষ্টি করেন বা সামনের যাত্রীদের আগে নামতে বাধা দেন, তাদের বিরুদ্ধে এই নিয়ম প্রয়োগ হবে। এই ধরনের অবাধ চলাফেরার ফলে পিছনের যাত্রীরা ঝামেলায় পড়ে, যার ফলে বিমানে অবিচ্ছিন্ন পরিবেশ ভেঙে পড়ে।
যাত্রীদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য যাত্রীদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। অবতরণের সময় বিমানের দরজার কাছে বসা যাত্রীদের আগে নামার সুযোগ দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত তাড়া না করে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলেই সবাই সুবিধা পাবে। সহনশীলতা ও সম্মানের সঙ্গে নামার প্রক্রিয়া চালিয়ে গেলে বিমানযাত্রা হবে আরামদায়ক এবং ঝামেলা মুক্ত।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: মোদির সফরে ব্রাত্য দিলীপ ঘোষ! রাজ্য বিজেপিতে ক্রমশ একঘরে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি?
ব্যক্তিগত অশান্তি
অভদ্র আচরণ, গুঁতো দেয়া বা আগ্রাসী মানসিকতা কেবল ব্যক্তিগত অশান্তিই নয়, এটি অন্যান্য যাত্রীদের নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করে। তাই তুরস্কের এই নতুন নিয়ম ভবিষ্যতে অন্যান্য দেশের জন্যও এক শিক্ষণীয় উদাহরণ হতে পারে। বিমানে ওঠানামার সময় নিয়ম মেনে চলা, ধৈর্য ধারণ করা আর একে অপরকে সম্মান জানানোই সুষ্ঠু যাত্রার মূলমন্ত্র। ফলে আমরা সবাই মিলে একটি স্বস্তিদায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে পারি, যেখানে যাত্রীরা শান্তিতে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।