ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা (Amit Shah) নির্বাচন। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতিতে কেন্দ্রীয় বিজেপি দল তৎপর হয়ে উঠেছে। ২ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসে দলের নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছেন। তাঁর আগমনের ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন দলের ডেপুটি নেতা অমিত শাহ। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার রাতে কলকাতায় আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর আসার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বেশির ভাগ জায়গায় নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে (Amit Shah)
রবিবার সকালে রাজারহাটে একটি সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের (Amit Shah) পর অমিত শাহ বাইপাস এলাকায় ফিরে হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ করবেন। তারপর দুপুরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক বড় সম্মেলনে অংশ নেবেন। ওই সম্মেলনে থাকবেন রাজ্য ও জেলা পর্যায়ের বিজেপি নেতারা, মণ্ডল সভাপতি ও মোর্চার পদাধিকারীরা। রাজ্যের ১৩০০টি মণ্ডল কমিটির মধ্যে বেশির ভাগ জায়গায় নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি মণ্ডলে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৯টিতে সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে ২৮ জনই নতুন।
নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ (Amit Shah)
সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের পদাধিকারীদের মধ্যে নতুনদের (Amit Shah) সংখ্যাই বেশি হওয়ায় এই সম্মেলনকে অনেকেই একটি কর্মশালা হিসেবে দেখছেন। অমিত শাহ আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বুথ স্তর থেকে রাজ্য নেতৃত্ব পর্যন্ত দলকে প্রেরণা দেবেন এবং নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করবেন।
কর্মীদের উৎসাহিত করবেন
শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারদের মত দলের অভিজ্ঞ নেতারা বলছেন, অমিত শাহ শুধু নতুন নেতাদের নয়, দলের সব স্তরের কর্মীদের উৎসাহিত করবেন। কারণ আগামী মাসগুলোতে ভোট যুদ্ধের রণনীতি ও সংগঠন দৃঢ় করতে হবে। সেই প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি নিয়োগ এখনও অনিশ্চিত। ২০২৬ সালের ভোটের আগে নতুন নেতৃত্ব আসবে কি না, অথবা সুকান্ত মজুমদারকেই নেতৃত্বে রেখে নির্বাচন মোকাবিলা করা হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ
বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় সভাপতির ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য পর্যায়ে সাংগঠনিক প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া যাবে। সেই প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। জেলাগুলো থেকে বিধানসভা ভিত্তিক নাম প্রদেশ পরিষদে পাঠানো শুরু হয়েছে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। প্রদেশ পরিষদই রাজ্য সভাপতির নির্বাচন করে।
নেতাজি ইন্ডোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলন
নেতাজি ইন্ডোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের পরে অমিত শাহ সন্ন্যাসী সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং সেখান থেকে দিল্লি ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে তিনি বাংলার রাজনীতির অবস্থা ও সংগঠনের দুরবস্থা সচেতন ছিলেন। বর্তমানে যদিও রাজ্যে সভাপতি নেই, তবু দলের সংগঠন ও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে তাঁর কঠোর নজরদারি রয়েছে।
আরও পড়ুন: Jamai Sasthi 2025: শাড়ি-গয়না সব তো হল, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শাশুড়িকে দিন ইউনিক উপহার!
অমিত শাহের এই সফর ও সংগঠনের পুনর্গঠনের মাধ্যমে বঙ্গে বিজেপির আগামী বিধানসভা ভোটের ছাব্বিশের রণনীতি নির্ধারিত হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তার উপরেই নির্ভর করছে রাজ্যের ভোটের ভাগ্য। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কৌশল এবং দলীয় ঐক্য কতটা মজবুত হয়, তা বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় বলে মনে করা হচ্ছে।