ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : তিনি শশী থারুর (Shashi Tharoor)— আন্তর্জাতিক মঞ্চে খ্যাতনামা, রাজনীতিতে প্রখর যুক্তিবাদী, কংগ্রেসের ‘বুদ্ধিজীবী মুখ’। কিন্তু আজ সেই শশীই দলের অন্দরে বিতর্কের জন্মদাতা। মোদি-প্রশংসা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্বাধীন আকাশ’-এর বার্তা — সব মিলিয়ে জল্পনা তুঙ্গে, শশী (Shashi Tharoor) কি কংগ্রেস ছাড়ছেন?
মোদির প্রশংসায় শশী, চাপে কংগ্রেস (Shashi Tharoor)
শশী থারুর (Shashi Tharoor), অপারেশন সিঁদুরের পর, দেশের কথা বিদেশে বলতে গিয়েছিলেন সর্বদলীয় নেতাদের সঙ্গে। সেখানে নানা জায়গায় বিজেপি সরকার, মোদির প্রশস্তি ফুটে ওঠার পরেই হাত শিবিরে অস্বস্ত্বি বাড়তে থাকে। তা আরও বাড়ে, এক সংবাদপত্রে শশীর লেখা নিয়ে। সাম্প্রতিক এক প্রবন্ধে থারুর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির “শক্তি, গতিশীলতা এবং সম্পৃক্ততার ইচ্ছা”-কে ভারতের “প্রধান সম্পদ” বলে উল্লেখ করেন। বিদেশ সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “মোদির ঐক্যের শক্তি, কার্যকর যোগাযোগ এবং কূটনৈতিক দক্ষতা ভারতকে সমৃদ্ধ করছে।” বলাই বাহুল্য এই বক্তব্য কংগ্রেসের চিরাচরিত মোদি-বিরোধী অবস্থানের একেবারেই বিপরীত। দল দ্রুত জানায় — “শশীর বক্তব্য একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত”, দলের নয়। এখানেই বিতর্কের সূত্রপাত।
খাড়গের তীব্র কটাক্ষ: ‘কিছু মানুষের কাছে আগে মোদি’ (Shashi Tharoor)
এই বিতর্কের মাঝেই জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) নাম না করে বলেন,“আমাদের কাছে দেশ আগে। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে আগে মোদি। যার যা খুশি, সে লিখতেই পারে।” রাজনৈতিক মহল একে সরাসরি শশী থারুরের (Shashi Tharoor) বিরুদ্ধে কটাক্ষ বলেই ধরে নিচ্ছে। দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের এমন বক্তব্যে থারুরের প্রতি অবিশ্বাসের বার্তাই স্পষ্ট।
থারুরের পোস্ট: ‘ডানা তোমার, আকাশ কারও একার নয়’
খাড়গের মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই শশী থারুর এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ লেখেন, “ওড়ার জন্য কখনও অনুমতি চেয়ো না। ডানাগুলো তো তোমারই। আর আকাশের মালিকানা কারও একার নয়।” এই পোস্ট নিছকই দার্শনিক উক্তি নয়, বরং অনেকেই মনে করছেন, এ যেন নিজের দলের সমালোচনাকেই জবাব দিলেন থারুর।। তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থানকে স্পষ্ট করলেন প্রতীকী ভাষায়।
আরও পড়ুন : Himachal Pradesh Cloudburst : হিমাচলে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধসে বন্ধ ১৭১টি রাস্তা, আটকে ২০০০ পর্যটক
বিজেপিতে যাচ্ছেন শশী?
যদিও থারুর নিজেই বলেছেন, “আমি বিজেপিতে যাওয়ার জন্য লাফাচ্ছি না,” তবুও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, থারুর ভবিষ্যতে যদি পদ্মশিবিরে যোগ দেন, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। মোদির প্রশংসা, দলীয় মতপার্থক্য, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘উড়ন্ত’ বার্তা — সব মিলিয়ে এটা স্পষ্ট, তিনি হয়তো নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে নিজের জায়গা খুঁজছেন।