ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বহরমপুরে তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদাগিরি! মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলর ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বহরমপুর পৌরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাবন রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
বহরমপুরে কাশিমবাজারের পালপাড়ার ঘটনায় উত্তেজনা। আক্রান্তের দাবি, ধারের টাকা চাইতে গেলে ওই মহিলার স্বামীকে বেঁধে রেখে মারধর করা হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার স্ত্রীকেও মারধর করা হয় এবং শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে ।
তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, ”এক যুবক সুদের টাকা নিয়েছিল। পুজোর জন্য সেই টাকা দিতে পারেনি। সেই কারণে সেই যুবককে মারধর করছিল ওই মহিলার স্বামী। তাকে বাঁচাতে গেলে আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, দুর্গাপুজোতে দাদুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বছর ন’য়ের শিশু কন্যাকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনার দুই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিলো ফরাক্কা থানার পুলিশ। সোমবার দুপুরে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত দুই অভিযুক্ত দীনবন্ধু হালদার ও শুভ হালদারকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। গত ১৩ অক্টোবর দাদুর বাড়ির সামনে খেলা করার সময় হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় বছর নয়ের এক নাবালিকা। প্রায় তিন ঘন্টা বাদে প্রতিবেশী মাছ ব্যবসায়ী দীনবন্ধু হালদার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর বস্তাবন্দী মৃতদেহ।
নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারের পর উত্তেজিত জনতা দীনবন্ধু হালদারকে ব্যাপক মারধর করেন। হাসপাতালে দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ফরাক্কা থানার পুলিশ দীনবন্ধু হালদারকে খুন ,তথ্য প্রমাণ লোপাট এবং পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করে। দীনবন্ধুকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে নাবালিকা খুনের ঘটনায় শুভ হালদার নামে আরও এক যুবক জড়িত রয়েছে ঘটনায়। ১৯ অক্টোবর পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ধৃত শুভর বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/jk-assembly-session-begins-on-stormy-note-over-restoration-of-article-370/
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/hindu-devotees-attacked-by-khalistani-supporters-in-canadas-brampton/
নাবালিকাকে খুন ও তার উপর যৌন নির্যাতন চালাতে দীনবন্ধুকে শুভ সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ। শিশুকন্যা নির্যাতন খুন কাণ্ডে এক পর্যায়ে আন্দোলন বিক্ষোভে উত্তাল হয় ফারাক্কা। অবশেষে সোমবার এই খুনের মামলায় যুক্ত দুই অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়ে ৬২২ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয় ফারাক্কা থানার পুলিশ।