ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের দায়িত্ব নিতে চলেছেন নির্বাচনে বিজয়ী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদ প্রাথী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আগামী ২০ জানুয়ারি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজের কার্যকাল পূর্ণ করে অবসর নেওয়ার পর দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এরই মধ্যে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বেশ তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন দিকে ঝুকবেন?
কে পাবে বেশি গুরুত্ব? (Donald Trump)
ভারত নাকি কানাডা কোন দেশ বেশি গুরুত্ব পাবে আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের (Donald Trump) কাছে? আমেরিকার ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক আগেই দেখেছে গোটা বিশ্ব। ট্রাম্পের এই কার্যকালেও কী ভারতের সঙ্গে সেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন কিনা সেই নিয়েও একাধিক জল্পনা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত, বিদেশমন্ত্রীর গলায় অন্য সুর
কেন খারাপ সম্পর্ক (Donald Trump)
খালিস্থানি সংগঠনের কিছু নেতাকে কানাডাতেই টার্গেট করছে ভারত সরকার এমন অভিযোগ একাধিক বার করেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও কানাডার উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা। এমনকি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নামেও একাধিক অভিযোগ তুলে বিবৃতি দিয়েছে কানাডা। এরপর ভারত-কানাডা সম্পর্ক বেশ তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারত আমেরিকা দুই দেশের সাথেই কূটনৈতিক সম্পর্ক ব্যলেন্স করে চলছে। তবে নতুন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) অনেকটাই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলবেন বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্ত হন আমাদের সঙ্গে। ক্লিক করুন এখানে।
ভারতের সুবিধা কেন?
অন্যদিকে ট্রাম্পের ভারত ঘেঁষা হওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে। ভারতে ট্রাম্পের অনেক বড় ব্রান্ড রয়েছে। ২০২৪-২৫ সালেই ভারতের বিভিন্ন শহরে ১০টির বেশি ট্রাম্প টাওয়ার তৈরি হবে। যেগুলি উদ্বোধন করতে ট্রাম্প নিজে ভারতে আসবেন ২০২৫ সালের মার্চ মাসে। সেক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি অর্থনৈতিক সম্পর্কও রয়েছে। যা ভারত মার্কিন সম্পর্কে বেশ খানিকটা প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
অন্যদিকে কানাডার সঙ্গে ভারতের এই সম্পর্কের অবনতির পেছনে কানাডায় ভারত বিরোধী গোষ্ঠীর ভোট ব্যাংকের রাজনিতিও একটি বড় কারণ। কিন্তু, আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আমেরিকার ভারতীয় বংশভূত ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জায়ের অন্যতম কারণ ভারতীয় বংশভূতদের ভোট। এমনকি ট্রাম্পের সরকারের মধ্যে অনেকেই ভারতীয় বংশভূত হতে পারেন বলেও জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Donald Trump: তড়িঘড়ি পুতিনকে ফোন ট্রাম্পের, হোয়াইট হাউসের অন্দরে হৈচৈ!
কানাডা আমেরিকার প্রতিবেশি
তবে কানাডা যদিও আমেরিকার প্রতিবেশি ও আন্তর্জাতিক স্তরে জোট শরিক। সেক্ষেত্রে আমেরিকা কানাডার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে বাধ্য হবে। তবে ইতিমধ্যেই কানাডাতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জনপ্রিয়তা বেশ কমতে শুরু করেছে। তবে এখনই জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের পতন না হলেও ট্রুডো সরকার যে বেশ চাপে রয়েছে তা নিশ্চিত।তবে কানাডার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খারাপ হলে ভারতের আন্তর্জাতিক বানিজ্যে বেশ ক্ষতি হবে বলেই মনে করছে ভারতের কূটনৈতিক মহল।