ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জগৎ বিখ্যাত শান্তিপুরের রাস উপলক্ষে পূর্ব রেল শান্তিপুর-শিয়ালদহ শাখায় প্রতি বছরই দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি বাড়তি ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করে থাকে চিরাচরিতভাবে, এমনকি ভাঙা রাসে সারারাত চলে ট্রেন। এবার চলবে বুলেট ট্রেন। উদ্যোগ অবশ্য রেল কর্তৃপক্ষের নয়! শান্তিপুরের (Shantipur) একটি পুজো উদ্যোক্তাদের।
রাস্তার উপর দিয়ে এক প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্ত, অবিরাম যাতায়াত করবে এই ট্রেন। তবে ৬০ ফুটের মধ্যে সামনে এবং পিছনে দুটি ইঞ্জিনের সাথে বগি এবং মাঝে একটি বগি সহ ট্রেনের দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট। কারণ, কে সি দাস রোড চড়কতলা এলাকার পুজোর কর্মকর্তারা ২৫ বছর উপলক্ষে তারা বানিয়েছেন এই বুলেট ট্রেন। সাথে অবশ্যই সিগন্যালিং ব্যবস্থা, লেভেল ক্রসিং, ওভার গেট সব কিছু হুবহু ট্রেনের মতো। (Shantipur) এমনকি ট্রেন লাইনের আর্থিং এবং ওভার হেডের ডিসি কারেন্টের সাহায্যে চলবে ট্রেন।
আরও পড়ুন: ভোটের শুরুতেই রক্তাক্ত ভাটপাড়া, শ্যুটআউটে মৃত্যু তৃণমূল নেতার
আরও পড়ুন: ব্রাজিল সফরে প্রধানমন্ত্রী, যোগ দেবেন জি২০ সম্মেলনে
এলাকারই এক যুবক প্রায় দীর্ঘ ৬ মাসের পরিশ্রমে তৈরি করলেন হুবহু বুলেট ট্রেনের আদলে ট্রেনের মিনি ভার্সন। ট্রেন সাধারণত আমাদের দেশে যেভাবে চলে ঠিক একই ইলেকট্রিক পজিটিভ ও নেগেটিভ এনার্জির তার দিয়ে ইলেকট্রিকের পোল ও ট্রেনের লাইন বানিয়ে, ঠিক একইভাবে চালানো হয় এই বুলেট ট্রেন। এমনকি ট্রেন যাওয়ার জন্য যে লাইন পাতা হয় সেটিও রাস্তার উপরেই কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
নির্মাতার বক্তব্য(Shantipur) :
ট্রেনটির নির্মাতা সুশান্ত কর্মকার জানান, ট্রেনটি রানিং চলবে ৬০ ফুট মত। এই ট্রেনের মধ্যে লাইট থেকে আরম্ভ করে একটি ট্রেনের মধ্যে যাবতীয় যা আনুষাঙ্গিক থাকে যেভাবে ট্রেনটিকে ইলেকট্রিক পাওয়ারের মাধ্যমে চালানো হয়। ঠিক একই পদ্ধতিতে এই ট্রেন চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ট্রেনটির দুদিকেই রাখা হয়েছে ইঞ্জিন। ট্রেনটি প্রায় ১৬ ফুট লম্বা। মোট তিনটি বগি বানানো হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ট্রেনটি বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ছয় মাস। সম্পূর্ণ ট্রেনটাই কাঠ এবং টিনের যাবতীয় সামগ্রী দিয়ে তৈরি।
তিনি এও জানান, পেশায় তিনি একজন ইলেকট্রিক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। তিনি শান্তিপুর কলেজে ইলেকট্রিক বিভাগে চাকরি করেন। এর আগের বছর নিজের হাতে তৈরি হেলিকপ্টার বানিয়ে তার মধ্যে প্রতিমা স্থাপন করে সেটিকে উড়িয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শান্তিপুরবাসীকে (Shantipur) । তবে এবার ঠাকুর আলাদা হলেও প্রদর্শনী হিসেবে ট্রেনটিকে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগের রাতে বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও! পুলিশের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ
রাস্তার ওপরে কাঠের উঁচু সেতু নির্মাণ করে তার উপরে তৈরি করা হয়েছে এই ট্রেনের লাইন। তার প্রধান কারণ হিসেবে জানা যায়, রাস্তায় পথ চলতি মানুষ এবং সেই রাস্তা সংলগ্ন যে সমস্ত দোকান রয়েছে তাদের যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই এই পরিকল্পনা তাদের। তাছাড়া উঁচু করে করলে দর্শনার্থীদের ভিড় হলেও তা দেখতে কারো কোনও অসুবিধা হবে না। এমনকি ওই রাস্তা সংলগ্ন ব্যবসাদাররাও জানাচ্ছেন, এই মণ্ডপ নিয়ে তাদের কোনও অসুবিধা নেই। কারণ শান্তিপুরের (Shantipur) রাস ঐতিহ্যমন্ডিত। তারা প্রত্যেকেই রাসের কয়েকটি দিন ব্যবসার পাশাপাশি পুজোতেও জায়গা দিয়ে সহযোগিতা করেন।