ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে পর পর দু’বার গুলি চালানোর চেষ্টা। কিন্তু দু’বারই ব্যর্থ হন ভাড়া করা ‘শুটার’। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে শুক্রবার রাতেই যুবরাজ সিংহ নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করেই ‘পরিকল্পনার ছক’ স্পষ্ট হয়। শনিবার প্রকাশ্যে আসে ইকবালের নাম। বাইকে করে পালানোর সময়ই বর্ধমানের গলসিতে ইকবালকে আটক করে পুলিশ। তবে সুশান্তকে কেন খুনের চেষ্টা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার নেপথ্যে অনেকে জড়িত। রবিবার আদালতে এমনই দাবি করল পুলিশ। দরকার পড়লে তদন্তকারীরা বিহারে গিয়েও তদন্ত চালাবে বলে জানানো হয়। তদন্তের স্বার্থে কসবাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী আফরোজ খান ওরফে গুলজারকে হেফাজতে রেখে আরও জেরার প্রয়োজন আছে বলে আদালতে সওয়াল করেন পুলিশের পক্ষের আইনজীবী। সেই আবেদন মেনে বিচারক অভিযুক্তকে ১৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/toy-train-service-was-restarted-at-hills-after-four-and-halfs-month-later/
পুলিশের দাবি, সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনা থেকে তা বাস্তবায়িত করার মধ্যে অনেকে জড়িত। তাঁদের সকলকে খুঁজে বার করতে হবে। এমনকি এই ঘটনা বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে কতগুলি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা-ও খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে বিহারেও যেতে পারেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, ধৃত শুটার এবং চক্রী দু’জনেরই আদি বাড়ি বিহারে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/ncb-seize-rs-2000-crore-drugs-on-raid-in-lords-of-drugs/
শুধু তা-ই নয়, বিহার থেকেই অস্ত্র আনা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন আছে। এই ঘটনার নেপথ্যে আরও কেউ আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তার পরই পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়। যদিও তার বিরোধিতা করেছেন অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী। তাঁর দাবি, এত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন অযৌক্তিক।