ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আগামী ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন নবনির্বাচিত রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আমেরিকার নির্বাচনের আগে থেকেই আমেরিকার নাগরিকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করলে তিনি গোটা বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন। বিশেষ করে গত প্রায় তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) সমাপ্তি ঘটিয়ে বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফোনে কথা (Russia-Ukraine War)
মার্কিন নির্বাচনে তার জয় নিশ্চিত হতেই তিনি ফোনে এই বিষয়ে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনেস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে (Russia-Ukraine War)। এই ফোন আলাপ রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রথম পদক্ষেপ বলেই মনে করেছিলেন আন্তর্জাতিক কুটনৈতিক মহলের একাংশ।
এখনও দায়িত্বে (Russia-Ukraine War)
কিন্তু এখনও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে। তার কার্যকালের মেয়াদ রয়েছে আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর তার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) আগুনে ঘি ঢেলে দিল জো বাইডেন সরকার।
আরও পড়ুন: Viral News: মাছের প্রতি অদ্ভুত প্রেমের টানে বানিয়েছেন দৈত্যাকৃতির অ্যাকোরিয়াম…তারপর
যুদ্ধ তীব্র করার চেষ্টা
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পদত্যাগ করার আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে আরো তীব্রতর করতে চাইছেন। এই লক্ষ্যে তিনি ইউক্রেনকে সবরকম যুদ্ধ কৌশল অবলম্বন করার ছাড় দিয়েছেন। এখন ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার উপরে মিসাইল আক্রমণ চালাতে পারে। সেক্ষেত্রে আমেরিকার থেকে কোনও রকম বাধা নিষেধ রাখছে না জো বাইডেন সরকার। এমনকি ইউক্রেন যদি চায় তাহলে তারা রাশিয়ার মস্কো এবং সেন্ট পিটার্সবার্গেও মিসাইল হামলা চালাতে পারে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকারের এই সিদ্ধান্ত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে আরো অনেক বেশি দীর্ঘায়িত করতে পারে।
রাশিয়ার নীতি পরিবর্তন
অন্যদিকে রাশিয়া নিজেদের নিউক্লিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নীতিতে কিছুদিন আগেই অনেকটা পরিবর্তন করেছে। আগে কোনও পরমানু শক্তি নয় এমন দেশের সঙ্গে যুদ্ধে পরমানু অস্ত্র ব্যবহার না করার নীতি ছিল রাশিয়ায়। কিন্তু, নিউক্লিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নীতি পরিবর্তনের ফলে কোনও পরমানু শক্তিধর দেশ যদি পরমানু শক্তি নয় এমন দেশকে যুদ্ধে সাহায্য করে তাহলেও রাশিয়া পরমানু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে।
আরও পড়ুন: Modi Nigeria: নাইজেরিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
পরিবর্তনের বড় অর্থ
এই সামান্য পরিবর্তন অনেক অর্থ বহন করছে। ইউক্রেন পরমানু শক্তিধর দেশ নয়। তাই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার পরমানু অস্ত্র ব্যবহারের কোনও প্রশ্নই নেই। কিন্তু যেহেতু ইউক্রেনকে সমর্থনকারী দেশ আমেরিকা একটি পরমাণু শক্তিধর দেশ এজন্য রাশিয়া চাইলেই নতুন নীতি অনুসারে ইউক্রেনের উপর পরমানু হামলা চালাতে পারে।