ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করতেই দুয়ারে রেশন (Ration) প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। কথা ছিল, গ্রাহকদের বাড়িতে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেবার । কিন্তু অভিযোগ, দুয়ারে রেশনের বদলে মিলছে স্লিপ। এমন ঘটনা সামনে এসেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কুমারগ্রাম এলাকায়। কুমারগ্রাম ব্লকের ভলকা বারবিশা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের লস্করপাড়ায় রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ।
দুয়ারে মিলছে শুধুই স্লিপ (Ration)
এই প্রকল্প অনুযায়ী, সাধারণ গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি রেশন(Ration) সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথা রেশন ডিলারদের। দুয়ারে তো সামগ্রী মিলছেই না তার পরিবর্তে যেতে হচ্ছে দু কিলোমিটার দূরের রেশন দোকানেই। অভিযুক্ত রেশন ডিলার রাজীব সাহা। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ। লস্করপাড়ার বাসিন্দাদের বক্তব্য, সরকারি নিয়ম মেনে কেন সঠিক ভাবে রেশন দেওয়া হবে না? একই সঙ্গে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কম সামগ্রী দেওয়া ও কিস্তিতে রেশন সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
দাঁড়ি পাল্লায় ইট-পাথর চাপিয়ে ওজন মেলানো চেষ্টা! (Ration)
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, মাসের প্রথম দিকে গেলে নির্ধারিত ওজনের কম সামগ্রী দেওয়া হয়। পরে বকেয়া সামগ্রী দেবার কথা বললেও তা দেওয়া হয় না। যেহেতু দুয়ারে রেশন(Ration) জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে হয়, তাই গ্রাহকের বাড়ির কাছে গিয়ে রেশন সামগ্রীর বদলে ডিজিটাল দাড়ি পাল্লায় ইট-পাথরও চাপিয়ে ওজন মেলানো হয় বলে অভিযোগ। ইলেকট্রনিক দাড়ি পাল্লায় সামগ্রীর বদলে ইট-পাথর চাপিয়ে ওজন দিয়ে স্লিপ বের করে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। সেই স্লিপেও রয়েছে একাধিক ধোঁয়াশা।
ওজনে গরমিলের অভিযোগ অস্বীকার
যদিও রেশন ডিলার রাজীব সাহা বলেন, ‘সামগ্রী শেষ হয়ে যাওয়ায় মানুষকে স্লিপ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর বাইরে কিছুই না।’ অন্যদিকে দাঁড়ি পাল্লায় ইট-পাথর চাপিয়ে ওজন মেলানো চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করেন ওই রেশন ডিলার।
ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস বিডিওর
এদিকে এই প্রসঙ্গে কুমারগ্রামের বিডিও গৌতম বর্মন বলেন, ‘বিষয়টি জানা নেই। ঘটনা সত্যি হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করে । কিন্তু সেই প্রকল্পে মিলছে শুধুই স্লিপ। তাতেই বাড়ছে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। কেন বাড়িতে বাড়িতে রেশন সামগ্রী দেওয়া হবে না উঠছে প্রশ্ন। এদিকে রেশন ডিলারদের স্বেচ্ছাচারিতার জন্য বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ। তবে বিডিওর তরফে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়ে । এখন দেখার কবে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পায় গ্রাহকরা ।