ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আলো উৎপাদনকারী ছত্রাকের দেখা মিলেছিল বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখীর জঙ্গলে (sonamukhi forest)। এবার দেখা পাওয়া গেল এক বিরল প্রজাতির মাংসাশী উদ্ভিদের।এই খবর শোনার পর থেকেই ভয়ে কাঁটা সকলে! মাংসাশী ফুল কেমন হয়, কীসের মাংস খায়? কৌতূহল বাড়ছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। না, না ভয় পাওয়ার তেমন কিছু নেই বরং এই গাছ মানুষের জন্য উপকারী (Bankura)। এগুলি আসলে সূর্যশিশির। বিজ্ঞান সম্মত নাম ‘ডোসেরা রোটানডিফোলিয়া’ (Drosera rotundifolia)। জীবন বিজ্ঞানের বইয়ের পাতায় এই প্রজাতির পতঙ্গভূক উদ্ভিদের নাম শুনেছেন অনেকেই। দেখা যায় না খুব বেশি।
সত্যিই কি এই গাছ মাংসভুক? (Bankura)
লাল ও গোলাপি রঙের ছোট্ট গাছ। অনেকটা সিকি পয়সার মতো আদল। বড়জোর ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা। পোকামাকড়ই মূলত এদের খাদ্য। এই গাছের একাধিক শুঁড় থাকে। যে শুঁড়ের মধ্যে চটচটে আঠালো পদার্থ থাকে। সাধারণত পতঙ্গ এই গাছের সুন্দর লাল ও গোলাপি রঙের ফুলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গায়ে বসলেই শুঁড়ে লেগে থাকা আঠাল পদার্থে তারা আটকে যায় (Bankura)। এরপর সেই পতঙ্গের শরীর থেকে বিশেষ কৌশলে প্রোটিন সংগ্রহ করে নিজের পুষ্টির চাহিদা মেটায় গাছটি।
সোনামুখীর জঙ্গলে মাংসাশী গাছ (Bankura)
মাংসাশী উদ্ভিদ প্রধানত ল্যাটেরাইট মাটিতেই হয়। আমাদের দেশে এগুলিকে সূর্যশিশির বা সান ডিউ বলা হয়। এগুলি অক্টোবর, নভেম্বর মাসে দেখা যায়। তবে লালমাটির জঙ্গলে ডিসেম্বর মাসে আচমকা এগুলির দেখা পাওয়া বেশ বিরল। বীরভূমের কিছু জায়গায় অল্প সংখ্যক সূর্যশিশির দেখা যায়। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল বাঁকুড়াও (Bankura)।
আরও পড়ুন: Stock Market Crash: ফেডারেল রিজার্ভের রেট কাটার প্রভাব, ভারতীয় শেয়ার বাজারে বড় পতন
কোন পরিবেশ দরকার?
শুষ্ক আবহাওয়ায় স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে এই ধরনের গাছ জন্মায়।আফ্রিকার আমাজনের গভীর জঙ্গলে দেখা যায় এই প্রজাতির মাংসাশী উদ্ভিদ। যেখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না সেসব জায়গাতেই সাধারণত দেখা যায়। বীরভূম জেলাতেও মাঝেমধ্যে দেখা মেলে এই উদ্ভিদের। তবে নজিরবিহীনভাবে এবার সোনামুখীর জঙ্গলে এই ব্যতিক্রমী গাছের দেখা মিলল।
আরও পড়ুন: Lifestyle: সন্তানকে কত বছর বয়সে আলাদা বিছানায় দেবেন? মা-বাবার জানা জরুরি।
সূর্যশিশির রক্ষায় তৎপর বন দফতর
সোনামুখী(Sonamukhi)ব্লকের বড় নারায়ণপুর গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে সূর্যশিশির গাছের দেখা মেলায় নড়েচড়ে বসেছে বন দফতর। গৃহপালিত প্রাণীদের হাত থেকে গাছগুলি রক্ষা করতে নজরদারির ভাবনা শুরু হয়েছে।এই উদ্ভিদগুলি যাতে কেউ ছিঁড়ে বা তুলে নিয়ে যেতে না পারে তার জন্য বনকর্মীদের নজর রাখতে বলা হয়েছে।বন দফতরের দাবি গৃহপালিত পশুর চারণভূমিতে ওই গাছ টিকে থাকতে পারেনা। তাই ওই এলাকায় যাতে গরু সহ অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণী না যায় সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন দফতর।