ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এখনও পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস(Vande Bharat Express) সবগুলিই হাওড়া থেকে ধরতে হয় যাত্রীদের। শিয়ালদা থেকে কোনও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নেই। জানা যাচ্ছে, হাওড়ার পরে এ বার শিয়ালদহ থেকে চলতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সেখানে ওই ট্রেনের পরিষেবা শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সংস্কারের উপরে বিশেষ জোর দিচ্ছে রেল।
আরও বন্দে ভারত চান যাত্রীরা (Vande Bharat Express)
বাংলায় প্রথম বন্দে ভারত চালু হয়েছিল হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি রুটের মধ্যে। এই ট্রেনের পরিসেবায় আনন্দিত হয়ে এখন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস(Vande Bharat Express) আরও বাড়ুক চান যাত্রীরা। শুরুতে অল্প সংখ্যক ট্রেন থাকলেও চাহিদার কথা মাথায় রেখেই কিছু সময়ের মধ্যে বাংলার বন্দে ভারতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। এখন হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি, হাওড়া–পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি–গুয়াহাটি, হাওড়া–পাটনা, হাওড়া–রাঁচি, নিউ জলপাইগুড়ি–পাটনা রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে। তাতে যাত্রীদের সুবিধা হচ্ছে খুবই। তবে শিয়ালদা থেকে হলে আরও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।
সাংবাদিক বৈঠকে রেল (Vande Bharat Express)
শিয়ালদহ থেকে বন্দে ভারত চালানোর বিষয়ে জানালেন মিলিন্দ কে দেউস্কর। কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড। আর সেখানেই হবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের(Vande Bharat Express) রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। সেরকম পরিকল্পনা করেছে রেল। আর তাই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে এসেছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার–সহ উচ্চপদস্থ অফিসাররা। এবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন রেলের জেনারেল ম্যানেজার। সেই বৈঠকেই শিয়ালদা থেকে বন্দে ভারত চালু হওয়ার সুখবর শুনিয়ে দিলেন তিনি।
শিয়ালদহ থেকে কবে বন্দে ভারত?
রেলসুত্রে খবর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস(Vande Bharat Express) শিয়ালদায় পেতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েকমাস। এই প্রকল্পের বাস্তবায়িত করতে ৩ মাস সময় লাগতে পারে বলে জানালেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ কে দেউস্কর। হাওড়া স্টেশন থেকে ধানবাদ সংলগ্ন ছোটা আমবানা পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ আগামী ৩ মাসের মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। শিয়ালদা থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হয়ে গেলে যাত্রীদের অনেক সুবিধা হবে। এই কথা ভেবেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এদিকে আবার হাওড়া থেকে কবচ যুক্ত ইএমইউ ট্রেনগুলি চালানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:Weather Update : মাঘের শুরুতেও উধাও শীত ! জাঁকিয়ে শীত ফের কবে থেকে?
কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?
ওই বৈঠকে কলকাতা টার্মিনাল লাগোয়া কাশীপুরে একটি আধুনিক কোচিং ডিপো তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়। প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে যাবতীয় আধুনিক সুবিধা-সহ ওই কোচিং ডিপো বা ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। হাওড়ার ঝিল সাইডিংয়ের ধাঁচে ভবিষ্যতের জন্য ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এবং কলকাতা ও শিয়ালদহ স্টেশনের ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ পরিকাঠামোও উন্নত করা হচ্ছে। দু’জায়গাতেই সর্বাধিক ২৪ কোচের ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে সম্প্রতি পিট লাইনের দৈর্ঘ্য বাড়াচ্ছে রেল।