ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়ার (Flat Building Collapse) ঘটনা প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। জানালেন যে পুরোনো পাপের বোঝা নাকি বয়ে নিয়ে চলতে হচ্ছে বর্তমান পুর প্রশাসনকে।
কী ঘটেছিল সেদিন? (Flat Building Collapse)
মঙ্গলবার দুপুরে জানা যায় যে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনীতে একটি ফ্ল্যাট বাড়ি (Flat Building Collapse) একেবারে হেলে পড়েছে। খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ওই বহুতলটি। বহুতলের নীচের একাংশ ভেঙে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটে। ঘটনার সময় বাড়িটিতে কেউ ছিলেন না, তাই কোনও দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রের তরফে খবর, বাড়িটির একদিক হঠাৎ নিচু হয়ে যায়। সেই নিচু দিক উঁচু করারই কাজ চলছিল সেখানে। সেই কাজ চলাকালীনই বাড়িটি একেবারে ভেঙে পরে।
নিখোঁজ প্রোমোটার! (Flat Building Collapse)
এই ঘটনার (Flat Building Collapse) পর থেকেই কার্যত নিখোঁজ বাড়ির প্রোমোটার। কয়েকজন স্থানীয়দের দাবি, একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিপদের সময় সকলেই সহায়তার আশাতেই ফোন করেছিলেন তাকে। এই ঘটনা নিয়ে এবার সরব হলেন কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র তথা কলকাতার সম্মানীয় মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।
বাম-জমানার পাপের ফল?
ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “বাম আমলে কোনওরকম প্ল্যানিং ছাড়াই বাড়ি তৈরি করা হত। তাই আজ এই অবস্থা।” বাড়িটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মেয়রের তরফ থেকে। প্রশাসনকে স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথাও মাথায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ববি। এই বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের বিশেষভাবে নজর দিতে বলেছেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: মতভেদ থাকতেই পারে,তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে অকপট অভিষেক
বাম-জমানাই দায়ী?
বাম আমলে প্রশাসনের কার্যকলাপকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি জানিয়েছেন, ” ইঞ্জিনিয়ার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমি যা বলবার বলেছি। বাম জমানায় কোনওকিছু অনলাইনে হত না। সব নথি ফাইলে জমা করে রাখতে হত। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেরকম কিছুই খুঁজে পায়নি। সিপিএম একটা ট্র্যাডিশন শুরু করে দিয়ে গেছে। সেইটা আটকাতে এখনও বেশ খানিকটা সময় লাগছে। সিপিএম-এর রাজনীতির কারণে আজ এই অবস্থা। রাজনীতি না করে কাজ করলে আজ মানুষের এত অসুবিধা হত না।”
আরও পড়ুন: BJP President Mohanlal Badoli: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘ধর্ষণ’, অভিযুক্ত বিজেপি নেতা ও এক গায়ক
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা…
ভবিষ্যতে এই ধরণের সমস্যা এড়ানোর জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা জিজ্ঞাসা করা হলে মেয়র জানান, “কলোনি এলাকায় বাড়ি তৈরি করতে হলে আমাদের কাছে বাড়ির প্ল্যান জমা দিতে হবে। আমরা ১৫ দিনের মধ্যে ন্যায্য দামে অনুমোদন দেবার ব্যবস্থা করব।”
বাড়িটিকে ভেঙে ফেলা হয়েছে
বর্তমানে বাড়িটিকে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে। হাইড্রোলিক ল্যাডারে করে বাড়ির জানালা দিয়ে ঢুকে কাজ করছে কর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।