ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আগামী ২০ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কার্যকাল (Joe Biden Farewell Speech)। ঐদিন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের শপথের আগে তাঁকে আবারও বিঁধলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বিদায়ী ভাষণে আশঙ্কা (Joe Biden Farewell Speech)
বুধবার ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে বিদায়ী ভাষণ দিচ্ছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden Farewell Speech)। সেই বিদায়ী ভাষণে একেবারে সরাসরি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ও তাঁর দলকে ইঙ্গিত করে বিঁধলেন জো বাইডেন। এমনকি তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন আমেরিকায় ‘বিপজ্জনক গোষ্ঠীশাসন’ শুরু হতে চলেছে।
বাইডেনের নিশানায় ট্রাম্প (Joe Biden Farewell Speech)
বিদায়ী ভাষণে জো বাইডেন নিজের উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম না নিলেও বিদায়ী প্রেসিডেন্টের নিশানায় যে ট্রাম্প-ই ছিলেন সেটা কিন্তু একেবারেই স্পষ্ট ছিল (Joe Biden Farewell Speech)। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও বলেন, ’বিপুল সম্পদ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি নিয়ে একটি অভিজাত গোষ্ঠীর শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে’। এমনকি তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন,এই পরিস্থিতি আমেরিকার অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের পক্ষে বেশ বিপজ্জনক। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এর সঙ্গে যোগ করে বলেন, ’আমাদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।‘
আরও পড়ুন: Bangladesh Election: ২১ বছর হলেই হওয়া যাবে সাংসদ, মেয়াদ চার বছর, এক গুচ্ছ সুপারিশ বাংলাদেশে
প্রথম ট্রাম্প জামানায় বিতর্ক
প্রথম ট্রাম্প জামানায় একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রথম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময়ে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করারও অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে পাওয়া উপহার নিজের কাছে রেখে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের মামলা চলছে আমেরিকার আদালতে। এই সমস্ত ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকার নাগরিকদের ভুল এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়া শুরু হয়েছে।এর ফলে ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। খর্ব হবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা।‘
ইতিবাচক পদক্ষেপ
আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সংশয় প্রকাশ করে নিজের বিদায়ী ভাষণে বলেন, তাঁর সময়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলি পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে কিনা সে বিষয়ে তিনি সংশয়ে রয়েছেন। জো বাইডেনের সময়ে একাধিক ইতিবাচক পদক্ষেপ রয়েছে। যেমন, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ, পরিবেশ রক্ষা সহ একাধিক পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা ট্রাম্প জামানায় অগ্রগতি হবে না বলেই তাঁর আশঙ্কা।
আক্ষেপের সুর বাইডেনের
আমেরিকার নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে বাইডেনে যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল নিজের দলের মধ্যেই। গত বছর আগস্ট মাসে শিকাগোয় ডেমোক্র্যাটদের জাতীয় কনভেনশনে তিনি নিজেই দলের প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম সুপারিশ করেছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিদায়বেলায় সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্প্রতি আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছিল বাইডেনের গলায়। জানুয়ারির ১০ তারিখে শেষ সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেন বলেন, ’আমি মনে করি ট্রাম্পকে হারাতাম। হ্যাঁ, পারতাম এবং আমি মনে করি কমলাও ট্রাম্পকে হারাতে পারতেন।‘