ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan Attacked) উপর যে ব্যক্তি আক্রমণ করেছিলেন, তার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা গেল, চোরের মতো তিনি দেখছেন সিসিটিভির দিকে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে আচমকাই চারিদিকে হাইলাইটেড একটাই খবর। বলিউড স্টার সইফ আলি খান নিজের বাড়িতেই আহত হয়েছেন। বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি তাঁকে ছুরিকাঘাত করেছে। যার জেরে বেশ ভালই আহত হন সইফ। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এমনকি অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করতে হয়েছে। এই বিপদে বাবাকে কীভাবে সইফ পুত্র ইব্রাহিম হাসপাতালে নিয়ে গেলেন?
হামলাকারীর ছবি প্রকাশ্যে (Saif Ali Khan Attacked)
ওই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি ঢুকে পড়ে সইফের (Saif Ali Khan Attacked) বান্দ্রার বাড়িতে। যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি সইফ আলি খানের বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে নামছেন চোরের মতো। তখন রাত ২ টো ৩৩ মিনিট। ওই ব্যক্তি আবার তাকাচ্ছেন সিসিটিভির দিকেও। পরনে রয়েছে সাদা কলার দেওয়া টি শার্ট, আর জিন্স। গলার কাছে ঝুলছে তোয়ালে জাতীয় কিছু একটা। কাঁধে রয়েছে একটা ব্যাগ।
ঠিক কী হয়েছিল? (Saif Ali Khan Attacked)
এই ঘটনার তদন্তকারী সিনিয়র অফিসারের বক্তব্য, সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan Attacked) বাড়ির এক পরিচারিকা প্রথমে সেই মুহূর্তে বাড়িতে ছিলেন। তিনি প্রথম অভিযুক্তকে দেখতে পান। অভিযুক্ত ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। সইফের পরিচারিকা দ্রুত তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তখনই ওই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির সঙ্গে পরিচারিকার হাতাহাতি হয়। ঘটনাচক্রে পরিচারিকা আঘাতও পান। তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। তখনই দৌড়ে আসেন সইফ আলি খান। তারপর ওই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির সঙ্গে অভিনেতার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। শোনা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির হাতে ধারালো একটা অস্ত্র ছিল। আর সেটা দিয়েই তিনি অভিনেতার উপর একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছেন। তারপর দেরি না করে, ওই মধ্যরাতে তড়িঘড়ি রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় লীলাবতী হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: Horogouri Pice Hotel: পথ চলা থামল, খুব শীঘ্রই শেষ হচ্ছে ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’
অটোতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়!
শোনা যাচ্ছে, সইফের বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান অটো করে বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। মধ্যরাতে তিনি কোনও গাড়ি পাননি। তখন না ছিল ড্রাইভার, না ছিল কোনও গাড়ির প্রস্তুতি। তাই তিনি সময় অপচয় না করে, বাধ্য হয়ে বাবাকে অটোয় করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: Felu Bokshi: ‘ফেলু বক্সী’ নিয়ে অকপট পরী, ছবিতে তার চরিত্র কেমন?
অবাক লাগলেও সত্যি
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এলোপাথাড়ি ছুরির কোপে গুরুতর জখম হয়েছিলেন সইফ। মোট ছটি আঘাত লাগে। যার মধ্যে দুটি আঘাত অত্যন্ত গভীর ছিল। বাবার এই রকম অবস্থার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সইফ কারিনার বাড়িতে পৌঁছান বড় ছেলে ইব্রাহিম। তখন কোনও গাড়ি ছিল না। তাই তিনি ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ দ্রুত বাবাকে অটো রিক্সায় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। সইফের বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে।