ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে কিছু ব্রিটিশ পরিবারকে (Air India crash) তাদের প্রিয়জনদের পরিবর্তে অপরিচিতদের দেহাবশেষ পাঠানো হয়েছিল। ভারত জোর দিয়ে বলেছে যে সমস্ত দেহাবশেষ অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে পরিচালনা করা হয়েছিল।
বিদেশি রিপোর্টের জবাবে ভারতের অবস্থান (Air India crash)
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভয়াবহ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় নিহত কয়েকজন ব্রিটিশ নাগরিকের পরিবার ভুল মৃতদেহ পেয়েছে (Air India crash)। এই প্রতিবেদনের জবাবে ভারত বলেছে, সমস্ত মৃতদেহ চরম পেশাদারিত্ব এবং মর্যাদা বজায় রেখে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া (Air India crash)
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, মৃতদেহ সংক্রান্ত উদ্বেগ প্রকাশের পর থেকেই ভারত ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে (Air India crash)। তিনি বলেন, “আমরা এই রিপোর্ট দেখেছি এবং ব্রিটেনের পক্ষ থেকে যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, তা সামনে আসার পর থেকেই আমরা তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।” তিনি আরও বলেন, “এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রোটোকল অনুযায়ী এবং কারিগরি নিয়ম মেনে নিহতদের শনাক্ত করেছে। সমস্ত মৃতদেহ যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে এবং পূর্ণ পেশাদারিত্বে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই বিষয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে আমাদের কাজ এখনও চলছে।”
কী ছিল বিদেশি মিডিয়া রিপোর্টে?
ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেইল ২৩ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয়—দুর্ঘটনায় নিহতদের মৃতদেহ নিয়ে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। কিছু পরিবার ভুল মৃতদেহ পেয়েছে, ফলে শেষকৃত্য বাতিল করতে হয়েছে। একটি ক্ষেত্রে কফিনে ছিল এক অজ্ঞাত যাত্রীর মৃতদেহ। আরেকটি ক্ষেত্রে একাধিক ব্যক্তির দেহাবশেষ একত্রে ছিল, যা কবর দেওয়ার আগে আলাদা করতে হয়েছে। দুটি নিশ্চিত ঘটনার কথা বলা হয়েছে, এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এমন আরও ঘটনা সামনে আসতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডন এবং ভারতে এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার আসন্ন সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: Fake Ambassador: গাজিয়াবাদে ভুয়ো দূতাবাসের পর্দা ফাঁস! এসটিএফ-র জালে ‘প্রতারক’ রাষ্ট্রদূত
ব্রিটিশ পরিবারের আইনজীবীর মন্তব্য
ব্রিটিশ পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাভিয়েশন আইনজীবী জেমস হিলি প্র্যাট বলেন, “গত এক মাস ধরে আমি এই পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। তাদের প্রথম এবং প্রধান চাওয়া হলো—তাদের প্রিয়জনদের দেহ ফিরে পাওয়া।” তিনি আরও বলেন, “কিছু পরিবার ভুল মৃতদেহ পেয়েছে এবং তারা এই ঘটনায় মর্মাহত। এটি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে। আমি মনে করি এই পরিবারগুলোর একটি সঠিক ব্যাখ্যার অধিকার আছে।” ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে সমস্ত প্রক্রিয়া নির্ধারিত প্রোটোকল মেনেই সম্পন্ন হয়েছে এবং এই বিষয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।