Last Updated on [modified_date_only] by Anustup Roy Barman
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘অমর সঙ্গী’র (Amar Sangee) ট্রেলার লঞ্চ ছিল চাঁদের হাট। এই ছবির হাত ধরে প্রথমবার অন স্ক্রিনে জুটি বাঁধলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (Bikram Chatterjee) এবং সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)। পরিচালনায় রয়েছেন, দিব্য চট্টোপাধ্যায়। ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে নতুন বছরের আগামী ৩১ জানুয়ারি। গত বুধবার ছিল, ছবির ট্রেলার লঞ্চ। আর সেখানেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে উপস্থিত ছিলেন সবার প্রিয় বুম্বাদা অর্থাৎ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। তাঁকে এক ফ্রেমে দেখা গেল বিক্রম এবং সোহিনীর সঙ্গে। শেয়ার করলেন নানান কথা।
ছবির পরিচালকের বক্তব্য (Amar Sangee)
রোমান্স এবং কমেডির মিশ্রণে খুব শীঘ্রই বড় পর্দায় আসছে ‘অমর সঙ্গী’ (Amar Sangee)। পরিচালক দিব্য চট্টোপাধ্যায়ের বাংলা ছবির ক্ষেত্রে এটি প্রথম কাজ। তাঁর কথায়, তিনি এই সিনেমার পোস্টার উন্মোচন করতে পেরে খুবই আনন্দিত। শুটিং হয়েছে বহু পরিচিত স্থানে। যা পরিচালকের অভিজ্ঞতাকে বিশেষ করে তুলেছে। মুম্বাইয়ে থাকার সময় তিনি স্থানীয় খবর মিস করতেন। ‘অমর সঙ্গী’ ছবির শুটিংয়ের কথা চিন্তা করে এখন তিনি ভীষণ আনন্দ অনুভব করেন। এছাড়াও তাঁর এই মূল্যবান অভিজ্ঞতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল খাবার। যা তাঁকে বাড়ির কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল।
ছবিতে সোহিনীর অভিজ্ঞতা (Amar Sangee)
এই ছবিতে কাজ নিয়ে সোহিনী সরকারের বক্তব্য, ছবিটির স্ক্রিপ্ট পড়ে তিনি ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন (Amar Sangee)। এছাড়াও প্রথমবার তিনি বিক্রমের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে, তার অভিজ্ঞতা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে। এটা এমন এক ব্যতিক্রম ধারার প্রেমের গল্প, যে ধারায় তিনি বহুদিন কাজ করেননি।
আরও পড়ুন: Mamata Kulkarni: মহাকুম্ভে সন্ন্যাস নিলেন বলি-অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি, বদলে গেল নাম
ছবির নাম ‘অমর সঙ্গী’ কেন?
‘অমর সঙ্গী’ , এই নামটা শুনলেই সিনে প্রেমী বাঙালির কাছে প্রথমে চলে আসে নব্বইয়ের দশকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সেই হিট ছবির নস্টালজিয়া। যদিও বিক্রম-সোহিনীর ‘অমর সঙ্গী’ এক্কেবারেই নতুন। এই গল্পে এমন এক জুটির কথা উঠে এসেছে, যারা ছোট থেকেই একে অপরকে ভালোবাসে। তাদের প্রেম চিরকাল একসঙ্গে থাকার মতই। তাই গল্পের নাম ‘অমর সঙ্গী’।
আরও পড়ুন: Jasleen Royal Singing Controversy: জ্যাসলিনের গানে নেই সুর, গর্জে উঠলেন ভারতীয় শিল্পীরা
সোহিনী-বিক্রমের প্রেমের ধারণা
সোহিনী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর জীবনে কখনও পুরনো প্রেম ঘাড়ে চেপে বসেনি। কাজের সূত্রে বন্ধুত্ব থাকতে পারে। কথাও হতে পারে। তবে তার কাছে ওই চ্যাপ্টারটা শেষ মানে শেষ। কিছু বন্ধুর ক্ষেত্রে এমন হয়েছে যে, বর্তমান সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় পুরনো সম্পর্কে ফেরত যেতে ইচ্ছে করেছে। তবে সোহিনীর ক্ষেত্রে সেটা কখনও ঘটেনি। অপরদিকে বিক্রম মনে করেন, অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভেঙে গেলেও ভালোবাসা থেকে যায়। তিনি সেই সেকেন্ড চান্স দেওয়ার পক্ষে। কারণ প্রকৃত ভালোবাসা ভাগ্য করে পাওয়া যায়। যদি কারোর প্রতি অনুভূতিটা থেকে গিয়ে থাকে, তাহলে তাকে আরেকবার সুযোগ দিতে আপত্তি নেই।