ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফেব্রুয়ারি মাসে(Awami League) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ। তা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারও। সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের জন্যই মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের ঘোষণা করেছে বলেও জানা যাচ্ছে।
আওয়ামী লিগের কর্মসূচি (Awami League)
সমাজমাধ্যমে আওয়ামী লীগের(Awami League) হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচির লিফলেট এবং প্রচারপত্র বিলি করবে আওয়ামী লীগ। এর পর ফেব্রুয়ারির কর্মসূচি শেষে বাংলাদেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজপথে নেমে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তাদের দাবি আদায়ে প্রচারপত্র বিতরণ ও প্রচারণা চালাবে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অবরোধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে সন্ধ্যা “কঠোর” ধর্মঘট হবে বলে জানিয়েছে তাঁরা।। এদিকে হাসিনার দলের কর্মসূচি রুখতে তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে ইউনূসের সরকারও।
হাসিনা এখনও ভারতে (Awami League)
৫ অগস্ট বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের পতন হলে তিনি আশ্রয় নেন ভারতে। আওয়ামী লীগের(Awami League) সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। তার প্রধান উপদেষ্টা করা হয় ইউনূসকে। বর্তমানে বাংলাদেশে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠেছে হাসিনার বিরুদ্ধে। সেই মামলা এখনও চলছে। হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। ওই কূটনৈতিক বার্তার প্রাপ্তিস্বীকার করলেও এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ প্রকাশ্যে জানায়নি নয়াদিল্লি।
হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
এটাই হবে আওয়ামী লীগের প্রথম বড় বিক্ষোভ। তবে, গত বছরের ৫ অগাস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ আন্দোলনের পর থেকে এই দলের অধিকাংশ নেতা হয় গ্রেফতার বা আন্ডারগ্রাউন্ডে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ(Awami League) তাদের ফেসবুক পেজে এমন সময় বলছেন, তারা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজপথে নামবে এবং হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের জন্য চাপ দেবে। ওই দল হাসিনা ও দলের অন্যান্য নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে হত্যা ও অন্যান্য অভিযোগ প্রত্যাহারেরও দাবি করেছে। যেটিকে “হাস্যকর মামলা” হিসেবে অভিহিত করেছে। উল্লেখ্য, দলটি এর আগে গত ১০ নভেম্বর বিক্ষোভ শুরু করার পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
আরও পড়ুন:Donald Trump: আমেরিকায় আয়কর বাতিলের প্রস্তাব ট্রাম্পের, লক্ষ্য আমেরিকার চাহিদা পূরণ
ইউনূস সরকারের বক্তব্য
এদিকে ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রশাসনের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি জানান, আওয়ামী লিগের পতাকার নীচে কেউ অবৈধ বিক্ষোভ করার সাহস দেখালে তাঁকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনও ধরনের চেষ্টাকে সুযোগ দেওয়া হবে না। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনও ন্যায্য বিক্ষোভ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করেনি। আমরা সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সাংগঠিনক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।”