ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নিম্নচাপের জেরে আমন ধান সহ সবজি চাষে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাঁকুড়া জেলায়। সর্বশেষ পাকা আমন ধানে মই দিয়ে গেছে দানার বৃষ্টি। দানার বৃষ্টি ধরতেই জমিতে নেমে সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতি (Cyclone Dana Effect) খতিয়ে দেখছেন কৃষি আধিকারিকরা। সোনামুখী ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন কৃষি আধিকারিকরা। শষ্যবীমার মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু শুকনো আশ্বাসে চিঁড়ে ভেজাতে নারাজ কৃষকরা।
তাঁদের দাবি অতীতে একাধিকবার আশ্বাস সত্ত্বেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ। তাই এবার আদৌ কী মিলবে ক্ষতিপূরণ? আশা ও আশঙ্কার দোলচলে জেলার হাজার হাজার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক।
আরও পড়ুন: Road Accident: লরির চাকায় পিষে মৃত্যু মহিলার, পথ-অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
পুজোর আগে নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টিতে বাঁকুড়া জেলায় আমন চাষে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। বন্যার জলে ডুবে সোনামুখী, ইন্দাস, পাত্রসায়ের ও কোতুলপুর ব্লকের একাংশে আমন চাষের দফারফা হয়। জমা জলে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয় জেলার অন্য অংশের আমন ধান ও সবজি। সেই ক্ষতি কোনও ক্রমে সামলে কৃষকরা যখন ফসল ঘরে তোলার কাজ শুরু করেছেন সেই সময়ই দানার প্রভাবে ফের একবার জোর ধাক্কা খান কৃষকরা। দানার প্রভাবে ৩ দিন ধরে দফায় দফায় বৃষ্টিতে নষ্ট হতে বসে হাজার হাজার হেক্টর জমির আমন ধান।
বহু ক্ষেত্রে কাটা ধান জমিতে পড়ে থাকায় তা সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়। এই পরিস্থিতিতে জেলাজুড়ে আমন ও সবজি চাষের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে কোমর বেঁধে ময়দানে নামে কৃষি দফতর। দফতরের ব্লক থেকে জেলাস্তরের আধিকারিকরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব সংগ্রহ করছেন। পাশাপাশি ফসল বীমায় আবেদন করলে সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাসও দিচ্ছেন তাঁরা। কৃষি দফতরের দাবি ক্ষয়ক্ষতির সামগ্রিক হিসাব এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে যারা ফসল বীমার আবেদন করেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই ক্ষতিপূরণ পাবেন।
আরও পড়ুন: Kolkata Fire: সাতসকালে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন! অগ্নিদগ্ধ যুবক
ক্ষতিপূরণে কৃষককে বঞ্চনার অভিযোগ পেলে বীমা সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। কৃষি দফতরের এমন আশ্বাসের পরেও আশঙ্কা কাটছে না ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের। তাঁদের দাবি এর আগেও একাধিকবার বীমার ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়ে কোনও ক্ষতিপূরণ মেলেনি। তবে এবার ক্ষতিপূরণ না মিললে সেক্ষেত্রে যে আকন্ঠ ঋণে ডুবে থাকা কৃষকদের আত্মহত্যা ছাড়া আর বিকল্প কোনও রাস্তা খোলা নেই, তা জানাতে ভোলেননি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।