ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তর বারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩ জন। উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিৎ ব্যানার্জী আত্মহত্যা ঘটনায় গ্রেফতার জয়শ্রী দাস। জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার সময় সুইসাইড নোটে পুরপ্রধান সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জয়শ্রী দাস সহ আরও তিনজনের নাম লিখে যায়। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ জয়শ্রী দাস, শুভজিত বিশ্বাস এবং শুক্লা বিশ্বাসকে প্রথমে আটক পরে গ্রেফতার করে।
বারাকপুরের দিঘির পাড়ে একজনের বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। বুধবার তাদের ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হবে। আত্মহত্যা করার আগে আড়াই পাতা সুইসাইড নোটে সত্যজিৎ ব্যানার্জি এই তিন জনের নাম লিখে গিয়েছিলেন। সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন তাকে মোবাইলে ভিডিও দেখিয়ে টাকা চাইতো এরা। টাকা দিতে দেরি হলে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতো এরা। এদের জন্য বাজারে বহু টাকা ধার হয়ে গিয়েছিল সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জয়শ্রী দাসদের গ্রেফতার করে যাদের কাছ থেকে তিনি টাকা ধার নিয়েছিলেন তাদের কে মিটিয়ে দিতে বলে যান পরিবারকে সেটাই সুইসাইড নোটে লিখে যান মৃত উপ পুরপ্রধান।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/the-story-of-bone-marrow-transplant/
জানা গিয়েছে, গত শনিবার সকালে বাড়ির চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার হয় উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিতের দেহ। মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবারের পর থেকে তিনি ‘নিখোঁজ’ ছিলেন। শুক্রবার রাতে অবশ্য বাড়ি ফেরেন। পরে আবার কিছু ক্ষণের জন্য বাইরে বেরোন। ফিরে আসেন গভীর রাতে। পরিবারের কারও সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা বলেননি। শনিবার সকালে চিলেকোঠায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় সত্যজিৎকে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/skin-care-tips-in-winter/
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি দীর্ঘ চিঠি উদ্ধার করেছিল। পরিবারের দাবি, মোবাইলে ভুয়ো ভিডিয়ো দেখিয়ে সত্যজিৎকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল। তাঁর পুত্র সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাবার সুইসাইড নোটে এ নিয়ে বিস্তারিত লেখালিখি হয়েছে। ওই চিঠিতে চার জনের নামের উল্লেখ ছিল। সার্থকের দাবি, তাঁদের মধ্যে দু’জনকে তাঁরা চিনতেন। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে। সুইসাইড নোটে থাকা চার জনকেই জেরা করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মধ্যে তিন জনকে প্রথমে আটক করে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।