ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানের অশান্ত দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে (Blast in Pakistan) ফের রক্তাক্ত ঘটনা। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত এক বৈঠকের মাঝপথেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত সাতজনের। আহত বহু, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন আরও অনেকে। প্রশাসন আশঙ্কা করছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শান্তি কমিটির অধীনে বৈঠক চলছিল (Blast in Pakistan)
সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের ওয়ানা শহরে এক শান্তি কমিটির অধীনে (Blast in Pakistan) বৈঠক চলছিল। সেই সময় আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বৈঠকস্থল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভবনের একাংশ ধসে পড়ে, বহু মানুষ চাপা পড়েন ধ্বংসস্তূপের নিচে। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক উসমান ওয়াজির জানান, ঘটনাস্থলে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে সাতজনের মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
জঙ্গিগোষ্ঠীর পরিকল্পিত হামলা (Blast in Pakistan)
এই হামলার পিছনে কে বা কারা রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত (Blast in Pakistan) নয়। তবে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর পরিকল্পিত হামলা হতে পারে এটি। কারণ এই শান্তি কমিটি অতীতে বহুবার সরকারবিরোধী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-র বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। ওয়ানার এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই টিটিপি-র ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তাই বিস্ফোরণের সঙ্গে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই আটকে
বিস্ফোরণের সময় দফতরের বাইরে ও আশপাশের এলাকায় বহু মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেই কারণে হতাহতের সংখ্যা এত বেশি বলে অনুমান। স্থানীয়দের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই আটকে রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
অভিযানের প্রত্যাঘাত?
এই ঘটনার ঠিক এক দিন আগেই পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের উত্তরে অনুপ্রবেশকারী ৫৪ জন জঙ্গিকে গুলি করে হত্যা করেছিল পাক সেনা। সীমান্তে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করায় তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সরকারি বিবৃতিতে তাদের ‘খোয়ারিজ’ বলা হয়েছে, এই শব্দটি সাধারণত পাকিস্তানি তালিবানদের বোঝাতেই ব্যবহৃত হয়। ফলে বিস্ফোরণটিকে সেই অভিযানের প্রত্যাঘাত হিসেবেও দেখছেন তদন্তকারীরা।
হামলার সংখ্যা বাড়ছে
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়ার মতো জঙ্গি-প্রবণ অঞ্চলে এই ধরনের হামলার সংখ্যা বাড়ছে। সরকারপন্থী গোষ্ঠী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের টার্গেট করে একের পর এক হামলা দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: Omar Abdullah: পহেলগাঁও কাণ্ডে ব্যর্থতার দায় স্বীকার মুখ্যমন্ত্রীর, বিধানসভায় নিন্দাপ্রস্তাব পাস…
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, অপরাধীদের শনাক্ত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।