ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে (Udhampur Gunfight) সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত নদিয়ার ঝন্টু আলি শেখের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেহ ফিরিয়ে আনা থেকে সার্বিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অবশেষে নদিয়ার বাড়িতে পৌঁছোল উধমপুরে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত ভারতীয় সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের দেহ। তেহট্টের পাথরঘাটার বাড়িতে শনিবার সকালে তাঁর দেহ পৌঁছেছে। স্থানীয় ইদগাহ ময়দানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ (Udhampur Gunfight)
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে (Udhampur Gunfight)। অভিযোগ, পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে গুলি করা হয়েছে। ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তাতে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন। এই ঘটনার দায় স্বীকার করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছে লশকর-এ-ত্যায়বার শাখা সংগঠন দ্য রেজ়িসট্যান্স ফোর্স (টিআরএফ)। এর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
সেনা-জঙ্গি গুলি বিনিময়ের সময় গুলিবিদ্ধ (Udhampur Gunfight)
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এলিট 6 প্যারা স্পেশাল ফোর্স-এর হাবিলদার ঝন্টু উধমপুরের (Udhampur Gunfight) বসন্তগড় এলাকায় ‘অপারেশন বিড়লি গলি’ এনকাউন্টারে অংশ নিয়েছিলেন। সেনা-জঙ্গি গুলি বিনিময়ের সময় গুলিবিদ্ধ হন ঝন্টু। কিন্তু গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই প্রাণপণ লড়াইয়ের চেষ্টা চালিয়ে যান। কোনরকমে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। গভীর রাত থেকেই উধমপুরের বসন্তগড়ে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই চলছিল। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার বাসিন্দা ঝন্টুর মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছয়ে রাজ্যের প্রধান সচিবালয় নবান্নতেও।
আরও পড়ুন: Udhampur Gunfight: জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলির লড়াই! জম্মুতে শহিদ নদিয়ার ছেলে ঝন্টু
গান স্যালুটে বিদায় জানানো হয়
শুক্রবার জম্মুতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটে বিদায় জানানো হয় ঝন্টুকে। গভীর রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছোয় তাঁর দেহ। সেখান থেকে সকালে দেহ নিয়ে আসা হল নদিয়ায়। শহিদ ঝন্টুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত গোটা গ্রাম। বহু মানুষ তাঁদের বাড়ির সামনে এবং ইদগাহ ময়দানে জড়়ো হতে শুরু করেছেন। ঝন্টুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিজেপি, আইএসএফও। জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী।
সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস
নদিয়ায় ঝন্টুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী নিহত শহীদ ঝন্টুর পরিবারের পাশে থাকার এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ঝন্টু আলি শেখের নিথর দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার যাবতীয় উদ্যোগ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝন্টুর দাদা নাজিম এবং বৌদি অনিন্দিতা শেখও ভারতীয় সেনায় রয়েছেন। অনিন্দিতা কাশ্মীরেই রয়েছেন। তাঁর মাধ্যমেই গ্রামের বাড়িতে বসে ছোট ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান ঝন্টুর বৃদ্ধ বাবা-মা। ঝন্টু বিবাহিত। স্ত্রী ঝুমা এবং তাঁদের দুই সন্তান তনভির এবং রেহানা আগরার সেনা ক্যান্টনমেন্টে থাকেন। তাঁরা তেহট্টের বাড়িতে এসেছেন বলে জানা যাচ্ছে।