ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক(Children’s Film Festival 2025) শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বা ১১তম কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এবারের থিম ‘ফ্যান্টাসি’। থাকছে ৩০টির বেশি দেশের বাছাই করা ১১৬টা ছবি। সিনেমা দেখার পাশাপাশি ক্যুইজ কম্পিটিশন, প্রদর্শনীও।
কী কী সিনেমা থাকছে উৎসবে? (Children’s Film Festival 2025)
২০১১ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উৎসবটির(Children’s Film Festival 2025) সূচনা করছেন। মাঝে দুবছর এই চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার ফের চলছে এই চলচ্চিত্র অনুষ্ঠান। দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি মোট ১২টি বাংলা সিনেমা থাকছে এই অনুষ্ঠানে। দেখানো হবে হীরক রাজার দেশে, ডাকাতের হাতে বুলু, কোনির মতো ‘কাল্ট’ সিনেমা। পাশাপাশি থাকছে সাম্প্রতিক হিট গুপ্তধনের সন্ধানে, দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন, কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন, সাগরদীপের যকের ধন, অ্য়াডভেঞ্চারস অফ জোজো-র মতো কিশোর-কিশোরীদের মন জয় করা থ্রিলারও। এছাড়াও থাকছে লায়নস কিং, হ্যারি পটারের মতো একাধিক বিশ্বখ্যাত সিনেমার সম্ভার। সিনেমা দেখার পাশাপাশি ক্যুইজ কম্পিটিশন, প্রদর্শনীও আয়োজিত হয়েছে।
জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (Children’s Film Festival 2025)
ধ্রুব হর্ষ পরিচালিত ‘এলহাম’ দেখিয়ে ২১ তারিখ বিকেল পাঁচটায় এই চলচ্চিত্র উৎসবের(Children’s Film Festival 2025) সূচনা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন গৌতম ঘোষ, ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসের মতো ব্যক্তিত্বরা। চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য সেজে উঠছে নন্দন। ২১ তারিখ থেকে রোজ দেখানো হচ্ছে একাধিক ছবি। অনুষ্ঠান শুরুর আগে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হলেন পর্যটন এবং কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, শিশু কিশোর অ্যাকাডেমির সভাপতি অর্পিতা ঘোষ, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শান্তনু ঘোষ, শিশু-কিশোর অ্যাকাডেমির সচিব মন্দাক্রান্তা মহালনবীশ। সেখানে শিশুদের জন্য এই উৎসব কীভাবে সুন্দর করা যায় তার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। খুব সুন্দর ভাবে চলছে বর্তমানে এই অনুষ্ঠান বলে জানা যাচ্ছে।
কোথায় কোথায় দেখানো হচ্ছে সিনেমা?
এবছর শহরের ৮টি জায়গায় শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের(Children’s Film Festival 2025) সিনেমাগুলি দেখানো হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নন্দন ১, ২ ও ৩। রবীন্দ্র সদন, শিশির মঞ্চ, চলচ্চিত্র শতবর্ষ ভবন, রবীন্দ্র ও কাকুরা ভবন এবং রবীন্দ্র তীর্থে। প্রতিদিন তিনটি শো থাকবে এই প্রেক্ষাগৃহগুলিতে। দুপুর ১২টা, দুপুর ৩টে এবং সন্ধ্যা ৬টায়। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যে ছটায় একতারা মুক্তমঞ্চে স্পেশাল স্ক্রিনিং হবে। কোনও প্রবেশমূল্য নেই। পাশাপাশি গতবছরের মতো এবছরও গগনেন্দ্র প্রদর্শনীশালায় কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে কীভাবে সিনেমা বানাতে হয় তা হাতেকলমে শেখানো হবে। উৎসব চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:Kapil Sharma: সলমনের পর এবার কপিল, মাথায় ঝুলছে মৃত্যুর খাঁড়া!
কী বলছেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী?
এই চলচ্চিত্র উৎসব বিগত বছরের মতো এবারেও বিপুল সাড়া পাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল। শিশুসুলভ মনকে বাঁচিয়ে রাখতে এই উৎসবে সকলকে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলছেন, “এই উৎসবে রেজিস্ট্রেশন করে শিশু-কিশোররা আসে। এই সংখ্যাটা দিন দিন বাড়ছে। বিরোধীরা বলেন, উৎসব হয় ভোটের জন্য। কিন্তু এটা ভুল। যাদের জন্য এই উৎসব করা তারা অনূর্ধ্ব ১৮। ভোটার নয়।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে শিশুমনের ভাল লাগার কথা মাথায় রেখে তাদের জন্য এই উৎসব শুরু করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।