ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মিটিং, মিছিলে মানুষের উপস্থিতির কমতি নেই, কিন্তু ভোট বাক্সে নেই তার প্রতিফলন। কটাক্ষ করে অনেকে একথাও বলে সিপিআইএম (CPIM) এখন শূন্য থেকে পাড়ি দিয়েছে মহাশূন্যে। এই অবস্থায় ফের দলীয় কর্মীদের জন্য নতুন করে নির্দেশিকা দেওয়া হল সর্বশেষ প্রকাশিত পার্টি চিঠিতে। বুথের সংগঠনের কমিটি তৈরির সময়সীমা যেমন সেখানে বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রেও রয়েছে বেশকিছু নির্দেশিকা।
ঘুরে দাঁড়াতে কর্মীদের কড়া বার্তা (CPIM)
সিপিআইএম (CPIM) নাকি শূন্য থেকে মহাশূন্যে যাত্রা শুরু করেছে। আলিমুদ্দিনের কর্তাদের ইদানিং এমন কটাক্ষ বারবারই করে থাকে তাদের বিরোধিরা। অবশ্য করার পিছনে কারণও রয়েছে, ২০১৬ সালের পর লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ভাঁড়ার শূন্য। কৌশল থেকে রণকৌশল শেষ পর্যন্ত ভোট বাক্সে ছাপ ফেলে রাশ ধরে আসন জয় সম্ভব হয় নি। বর্তমানে রাজ্যে কী লোকসভা কী বিধানসভা জ্যোতি বসু, প্রমোদ দাশগুপ্তের পার্টির আসন সংখ্যা আর্যভট্টের আবিষ্কার মানে জিরো।
এমত পরিস্থিতিতে ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে বিভিন্নস্তরের সম্মেলন পর্ব মিটে গেছে দলের (CPIM)। ফলে ঘর গোছানোর বেশ কিছুটা সময় পেয়ে গেছেন মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা। সর্বশেষ যে পার্টি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের কর্মীদের। পার্টি চিঠির ৬ নম্বর পাতার ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে বুথ সংগঠনকে স্থায়ী সংগঠনের রূপ দিতে হবে, বিপুল পরিমান বুথ এরাজ্যে। সমস্ত দূর্বলতা অবিলম্বে অতিক্রম করতে হবে। একইসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৩০ জুনের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত বুথে বুথ সাংগঠনিক কমিটি গঠন করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বেশকিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে পার্টি চিঠিতে।
আরও পড়ুন: John Barla joined TMC: ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা পদ্ম শিবিরে, তৃণমূলে যোগ জন বার্লা
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ব্যক্তি প্রচার’ নিষিদ্ধ (CPIM)
৬ নম্বর পাতার ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাক্তি প্রচার বন্ধ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পার্টি সদস্যদের ব্যক্তিগত মতামত (বহুক্ষেত্রে পার্টির সিদ্ধান্তের পরিপন্থী) দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াকে আন্ত পার্টির সংগ্রাম মঞ্চ তৈরি করা যাবে না বলেও সাবধান করা হয়েছে। প্রয়োজনে কঠর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। যদিও দলের একটা অংশের মত প্রতিবারই এমন গালভরা কথা বলা হয়,দুই একটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, কিন্তু ওইটুকুই, না হলে সম্মেলনগুলিতে জেলাস্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসতো? এই অবস্থায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৩৪ বছরের শাসক সিপিআইএম (CPIM) কতটা ঘুরে দাড়াতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।