ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সৈকতনগরী দিঘা এখন যেন জগন্নাথের অভিষেকক্ষেত্র! আজ বিকেল চারটেয় জগন্নাথধামের পবিত্র যজ্ঞকুণ্ডে আহুতি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ণ ভক্তিভরে নিজ হাতে যজ্ঞে অংশ নেবেন তিনি। গত কয়েক দিনের নানা আচার-উপাচারের (Temple Inauguration) পর আজকের যজ্ঞ যেন চূড়ান্ত আত্মার আহ্বান!
আগামীকাল, অক্ষয়তৃতীয়ার পুণ্য লগ্নে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে দিঘার বুকে। সেই মুহূর্ত থেকে দিঘা শুধু একটা সমুদ্র শহর থাকবে না—এ হয়ে উঠবে শ্রদ্ধা, ঐতিহ্য আর আস্থার মিলনস্থল (Temple Inauguration) । মন্দির চত্বর ভেসে যাচ্ছে ভক্তিময় জোয়ারে। ধূপ-ধুনোর গন্ধ, মন্ত্রোচ্চারণের ধ্বনি আর বাতাসে মিশে থাকা একটা অদ্ভুত পবিত্রতা, সব মিলে যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি।
মন্দির প্রাঙ্গণে শুরু ধর্মীয়-আচার (Temple Inauguration)
মঙ্গলবার সকাল থেকেই মন্দির প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে এক বিশাল ধর্মীয় আচারপর্ব। দুপুর থেকে শুরু হবে মূল হোমযজ্ঞ। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী নিজে পূর্ণাহুতি দেবেন এই যজ্ঞে। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, এদিনের মহাযজ্ঞ আসলে গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক আচারপর্বেরই পরিণতি। ইতিমধ্যেই বাস্তুযজ্ঞ, দুগ্ধস্নান, বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন উপচার সহ একাধিক আচার সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন: Digha Jagannath Temple: দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের আগেই বাতিল দু’টি বিশেষ ট্রেন
গত শুক্রবার থেকে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছে যজ্ঞ-উপাসনার নানা পর্ব। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর বাস্তুপুরুষের উদ্দেশে যজ্ঞ করে অপদেবতা থেকে মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। চারটি কুণ্ডের মাঝে স্থাপিত হয়েছে একটি মহাকুণ্ড, যেখানে লক্ষাধিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে চলছে আরাধনা (Temple Inauguration) । গর্ভগৃহে প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতার আগমনও আহ্বান করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর হাতে শুরু হবে পবিত্র অধ্যায় (Temple Inauguration)
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সোমবার মন্দির পরিদর্শনের সময় মন্দিরের কলিঙ্গ শৈলির স্থাপত্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরোহিতদের সঙ্গেও দেখা করে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

মন্দির উদ্বোধনের দিন সন্ধ্যায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হবে (Temple Inauguration) । দিঘা শহর ইতিমধ্যেই উৎসবের রঙে রাঙানো হয়েছে। শহরের হোটেল, রাস্তা ও সমুদ্রসৈকত চত্বরে লাগানো হয়েছে রঙিন আলোকসজ্জা এবং বড় এলইডি স্ক্রিন, যাতে দর্শনার্থীরা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন।
সোমবার রাতে প্রস্তুতির খতিয়ান নিতে মন্দিরে উপস্থিত হন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি ও পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। নিরাপত্তার দিক থেকেও জোরদার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।