ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: যুদ্ধ জয় করে ফিরলেন অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর ( Dipika Kakar)। হাসপাতালে টানা ১১ দিন যুদ্ধ চলে তাঁর। শুক্রবার বাড়ি ফেরেন অভিনেত্রী । এই কয়েকদিন অভিনেত্রীর ছোট্ট ছেলেও মায়ের থেকে দূরে ছিলেন। এবার মাকে ফিরে খুশিতে আত্মহারা সে। অভিনেত্রীর স্বামী ভ্লগের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন সবটাই। কী কী জানা গেল ভ্লগের মাধ্যমে? কী বললেন স্বামী শোয়েব? এখন কেমন আছেন অভিনেত্রী?
বিপদ মুক্ত ( Dipika Kakar)
অভিনেত্রী পেটের ব্যথায় ( Dipika Kakar) ভুগতেন । চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তাঁর টেনিস বলের আকারে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হয়েছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অভিনেত্রীকে। চিকিৎসক টানা ১৪ ঘন্টার অস্ত্রোপচার করেন। এখন তিনি বিপদ মুক্ত। ঈদের আগের দিন তাঁকে আই সি ইউ থেকে ব্যক্তিগত কেবিনে রাখা হয়। শুক্রবার তাঁর ছুটি দেওয়া হয়। তিনি সুস্থ আছেন।
জানালেন কৃতজ্ঞতা ( Dipika Kakar)
অভিনেত্রী দীপিকার স্বামী শোয়েব হাসপাতাল ( Dipika Kakar) থেকে ছাড়ার মুহূর্ত ভিডিও করেছিলেন। পরে ভ্লগের মাধ্যমে সেই ভিডিও সকলের সাথে ভাগ করে নেন। সাথে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি । শোয়েবের মতে, চিকিৎসক ,নার্স ও অনুরাগীদের প্রার্থনাতেই স্ত্রী দীপিকা জিতে ফিরেছেন।
খুশি একরত্তি
টেলিভিশনে জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর (Dipika Kakar)। স্টেজ ২ লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। অভিনেত্রী নিজেই অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন সকলকে। তবে অভিনেত্রী চিন্তায় ছিলেন। কারণ তাঁর সন্তান খুবই ছোট । অভিনেত্রীর ছেলের বয়স ২ বছরও হয়নি। সে মাতৃদুগ্ধই পান করত । যদিও অসুস্থতার জন্য ছেলেকে স্তন্যপান করাতেন না দীপিকা। সে কথা আগেই জানা গিয়েছিল । মায়ের এমন অসুস্থতায় পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেই বড় হচ্ছে একরত্তি। তবে মায়ের সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় সেও সকলের মতো খুব খুশি। যদিও দীপিকা মনে করেন ,তাঁর প্রাথমিক যুদ্ধ শেষ হয়েছে ,তবে এখনও অনেকটা পথ যেতে হবে।
আরও পড়ুন: Grihapravesh: শুভশ্রীর ‘গৃহপ্রবেশ’ এ শুধুই মুগ্ধতা, বিশেষ বার্তা পাঠালেন দেব!
যুদ্ধে জয়ী
অভিনেত্রীর স্বামী শোয়েব দীপিকার হাসপাতালে থাকাকালীন মুহূর্তগুলি শেয়ার করেন । দীপিকার কেবিনের পাশে সোফা সেট করা। সেখানেই শোয়েব বিশ্রাম নিতেন মাঝে মাঝে। এভাবে ১১ দিন দম্পতির সময় কাটে হাসপাতালে। অভিনেত্রী জানান, তিনি ১১ দিনের যুদ্ধে জিতেছেন । তাঁর আশা আগামী দিনেও সফল হবেন তিনি। শোয়েব মনে করেন, অনুরাগীদের প্রার্থনায় তাঁদের যুদ্ধ জয় সম্ভব হয়েছে।