ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিতর্কের কেন্দ্রে বলিউড (FIR Against Kesari 2) অভিনেতা অক্ষয় কুমারের ছবি ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’। ইতিমধ্যেই ছবিটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধাননগর দক্ষিণ থানায়। অভিযোগ করা হয়েছে যে এই সিনেমায় বাংলার বীর বিপ্লবীদের নাম ও তাঁদের ইতিহাস বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু (FIR Against Kesari 2)
ছবির প্রযোজকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক (FIR Against Kesari 2) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিধাননগর দক্ষিণ থানার ডিসি অনীষ সরকার জানিয়েছেন, ছবিতে স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসুর নাম বদলে ‘ক্ষুদিরাম সিং’ বলা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রফুল্ল চাকির মতো বিপ্লবীর কোনও উল্লেখই নেই। এমনকি, আর এক প্রখ্যাত বাঙালি বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষের নামকেও বিকৃত করে ‘বারীন্দ্র কুমার’ বলা হয়েছে।
ঐতিহাসিক ঘটনার বিকৃতি (FIR Against Kesari 2)
সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়, ছবিতে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম ও বারীন্দ্র ঘোষ (FIR Against Kesari 2) অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন, যা ইতিহাসের সঙ্গে সরাসরি বিরোধের বিষয়। ডিসি আরও জানান, ইংরেজ আমলে বিচারক কিংসফোর্ডের উপর হামলার চেষ্টা করেন ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ক্ষুদিরাম ফাঁসির আদেশ পান এবং প্রফুল্ল আত্মঘাতী হন, যাতে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরা না পড়তে হয়। এমন ঐতিহাসিক ঘটনাকেও বিকৃত করে দেখানো হয়েছে বলে দাবি।
রাজনৈতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া
এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “এই ছবি বাংলার গৌরবকে লাঞ্ছিত করেছে। ছবিতে বাঙালি বিপ্লবীদের নাম বিকৃত করে উত্তর ভারতীয় নাম বসানো হয়েছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হচ্ছে। এটি কোনও ভাবেই আমরা মেনে নিতে পারি না। অবিলম্বে সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যে ছবি এত বড় বিকৃতি নিয়ে তৈরি হচ্ছে, সেটি কীভাবে ছাড়পত্র পায়? কীভাবে মুক্তির অনুমতি মেলে?”
আরও পড়ুন: Gold Rate Today: সোনার দামে আবার ঊর্ধ্বগতি, এক ভরিতে খরচ আরও বেড়ে গেল!
বর্তমানে ‘কেশরী চ্যাপ্টার ২’ জিও হটস্টারে স্ট্রিমিং হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এমন ছবি জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে ইতিহাস সম্পর্কে যাঁদের ধারণা কম, তাঁদের মধ্যেই বিভ্রান্তি তৈরির আশঙ্কা বেশি। আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে, ইতিহাস বিকৃতি কোনও ছোট অপরাধ নয়। শুধু তথ্যগত ভুলই নয়, বরং জাতিগত গৌরব ও আত্মপরিচয়ের উপর আঘাত বলেই দেখা হচ্ছে এই ঘটনাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে। ছবির নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।