ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দুর্গাপুজোর শেষ হলেই এই রাজ্যের সবচেয়ে বড় উৎসব, বইমেলা। বইপ্রেমী মানুষের স্বর্গ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা (Kolkata Book Fair 2025)। আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বইমেলা। শেষ হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। ১২ দিন ধরে বইমেলা প্রাঙ্গন অর্থাৎ করুণাময়ীর নির্দিষ্ট মেলা প্রাঙ্গণেই চলবে বইয়ের উৎসব। প্রতিবারের ন্যায় এইবছরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) হাত ধরেই হবে বইমেলার উদ্বোধন। সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ও অন্যান্য গুণিজনেরা।
এবারের বইমেলার থিম কান্ট্রি জার্মানি (Germany) । ৪৮ বছরের মেলার ইতিহাসে প্রথমবার। ১৯৭৬ সালে কলকাতা বইমেলা আয়োজনের প্রথম চিন্তাভাবনা এসেছিল জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুট বইমেলা থেকেই। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা নিয়মিত যেতেন ফ্র্যাঙ্কফুট বইমেলায়। পরবর্তীকালে ফ্র্যাঙ্কফুট বইমেলার বহু প্রতিনিধিরাও এসেছেন আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় (Kolkata Book Fair 2025)।
আরও পড়ুন: রাতের কলকাতায় ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, দমকলের ২১ ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে
আরও পড়ুন: রাজ্য পেরিয়ে জাতীয় স্তর, কাবাডিতে বাংলার হয়ে লড়বে আদিবাসী ছাত্রী
প্রতিবছরের মতো অংশগ্রহণ করছে গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পেরু, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া এবং লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ। কিন্তু এই তালিকায় বাংলাদেশের (Bangladesh) স্টল থাকবে কিনা এখনই বলতে পারছেন না বইমেলা কর্তৃপক্ষ। সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার কেন্দ্রবিন্দু হতো বাংলাদেশ প্যাভেললিয়ন। দেশটির বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রকাশনী সংস্থা অংশ নিত। এবছর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে প্রায় ২৮ বছর পর কলকাতা বইমেলায় অনিশ্চিত বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: পাঁচ বছর পর চেনা ছন্দে শান্তিনিকেতনের ‘পৌষমেলা’! বড় সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর
যদিও এ ব্যাপারে গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চ্যাটার্জী এখনো আশা ছাড়েননি। তিনি জানান ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় (Kolkata Book Fair 2025) বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে না- এটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা অপেক্ষা করছি, যদি আগামী দিনে এই জটিলতা কমে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যথোপযুক্ত সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি। যে পরিস্থিতির মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশ রয়েছে সেখানে সরকারি কোনো নির্দেশনা ছাড়া আমরা কোন রকম সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।