ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রোজের বদভ্যাসই একটু একটু করে লিভারের সমস্যা(Liver Health) বাড়িয়ে তোলে। বিশেষত কম বয়সিদের মধ্যে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এখন খুব কমন। লিভারের ক্ষতি হলে ওজন বাড়ে, খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, কাজ করার এনার্জি থাকে না—এমন নানা সমস্যা দেখা দেয়। এমন সমস্যা হলে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। যে সমস্ত বদ অভ্যাসের জন্য হতে পারে লিভারের ক্ষতি সেইসব বদ অভ্যেস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাল্টে ফেলার চেষ্টা করা উচিত। এমন সমস্যায় অবশ্যই পরামর্শ নিন ডাক্তারের।
শরীরচর্চায় অনীহা (Liver Health)
অলস জীবনযাপনের জেরে দেহে একাধিক রোগ বাসা বাঁধে। তার মধ্যে লিভারের সমস্যাও রয়েছে। শরীরচর্চা না করলে শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া সচল থাকবে না। এর জেরে লিভারের কার্যকারিতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়(Liver Health)। তাই প্রতিদিন অবশ্যই করুন শরীরচর্চা।
ডিহাইড্রেশন (Liver Health)
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান না করলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে লিভারও রয়েছে(Liver Health)। সকালবেলা খালি পেটে এক গ্লাস জল পান করুন। এর পর সারাদিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস জল পান করা উচিত। এটি লিভারের কার্যকারিতায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত, লিভার থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:Dal Benefits: জানেন কি কোন ডালে সারতে পারে কোন অসুখ? জানুন বিভিন্ন ডালের উপকারিতা
মদ্যপান
এক ফোঁটা মদও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তার উপর নিয়মিত মদ্যপান করলে লিভারের বারোটা বাজবেই(Liver Health)। অ্যালকোহল লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে। লিভারের প্রদাহ বাড়ায়। অত্যধিক মদ্যপানের জেরে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
চিনি
চায়ের এক চামচ চিনি খাওয়াতে ক্ষতি নেই। কিন্তু আজকাল প্রায় সব প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে চিনি থাকে। বিস্কুট, কেক থেকে শুরু করে কোল্ড ড্রিংক্সেও চিনি রয়েছে। অত্যধিক পরিমাণে চিনি যুক্ত খাবার খেলে লিভারের ক্ষতি অনিবার্য। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে চিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই লিভার ভালো রাখতে অবশ্যই রোজ মেপে খান চিনি।
আরও পড়ুন:Cooking Oil: খাবার তেল থেকে হতে পারে শরীরে ক্ষতি, সতর্ক না হলেই বিপদ
ঘুমের অভাব
ঘুম নিয়ে সচেতন নন অনেকেই। অথচ, এই কাজটা করতেই কোনও পরিশ্রম দরকার হয় না। ঠিকমতো ঘুম না হলে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে লিভারের উপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে। এর জেরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। রোজ সঠিক সময় শুতে যান এবং রোজ সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার চেষ্টা করুন। এবং দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম যাতে হয় সেদিকে নজর রাখুন।