ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কম বয়সে হার্ট অ্যাটাক(Heart Health), স্ট্রোকের ঘটনা মাঝেমধ্যেই শিরোনামে উঠে আসছে। ডাক্তাররা বলছেন, কম বয়সিদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছন্নছাড়া জীবনযাপনই হার্টের সমস্যা ডেকে আনছে। স্বাস্থ্যকর ডায়েটের কোনও বিকল্প হয় না। কিন্তু আসল সমস্যা হলো, কী খাবেন? বাড়ির তৈরি সব ধরনের খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কম তেলে রান্না করা খাবার, শাকসবজি ও ফল বেশি খেলেই সুস্থ থাকা যায় একথা ঠিক। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে লাইফস্টাইলে বদল আনতে হবে। প্রথম পরিবর্তন আনুন খাওয়া-দাওয়ায়। স্বাস্থ্যকর ডায়েটের কোনও বিকল্প হয় না। তাই প্রতিনিয়ত খান এই খাবারগুলো।
আখরোট (Heart Health)
আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ , স্বাস্থ্যকর চর্বি যাকে বলা হয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্ল্যান্ট স্টেরল এবং ফাইবার। প্রতিদিন অল্প মুঠো আখরোট আপনার কোলেস্টেরল কমাতে পারে এবং আপনার হার্টের(Heart Health) ধমনীতে প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে পারে। নাস্তায় ওটসের সাথে খতে পারেন।

আমন্ড (Heart Health)
বাদাম অবিশ্বাস্যভাবে পুষ্টিকর-ঘন, ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি দীর্ঘ তালিকা নিয়ে গঠিত। যা হার্টের(Heart Health) স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি হৃৎপিণ্ড-স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবারের একটি ভাল পদার্থ , দুটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি যা হৃদরোগের বিরুদ্ধে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে। কিন্তু বাদাম কোনোরকম লবণ না দিয়েই খান। বা দুধের সাথে ভিজিয়ে খেতে পারেন।

আরও পড়ুন:Blue Tea: স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চুমুক দিন নীল চায়ে, ত্বকেও উপকারী
ডাল
ভাত-রুটি যা-ই খান, সঙ্গে এক বাটি ডাল রাখুন। যে কোনও ডাল খেতে পারেন। ডাল যেমন দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে, তেমনই এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। এই খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়(Heart Health)।

শীতের ফল
এই মরশুমে কমলালেবু, পেয়ারার মতো ফল রোজ খান। সাইট্রাস ফলে ফ্ল্যাভনয়েড রয়েছে। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি কমায়। হার্টকে ভালো রাখতে সাইট্রাস ফল খান।

আরও পড়ুন:Chia Seeds: চিয়া সিড উপকারী হলেও অতিরিক্ত খেলে হতে পারে সমস্যা
পালং শাক
শীতকালে জমিয়ে পালং শাক খান। এই শাক হার্ট হেলদি। হার্টে রক্ত সঞ্চালনকে সচল রাখা থেকে শুরু করে একাধিক শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধ করে। তা ছাড়া পালং শাকে ফোলেট রয়েছে, যা কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্য উন্নত করে।

ফ্ল্যাক্স সিড
রোজ সকালে ফ্ল্যাক্স সিড ভেজানো জল পান করুন। এই বীজের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা শারীরিক প্রদাহ কমায়। ফ্ল্যাক্স সিডের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফাইবার রয়েছে, যা হার্টের সমস্যা কমায়।
