ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভুর গ্রেফতারি ও বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার নির্যাতনের পরিস্থিতিতে অস্থির বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই অস্থিরতার পরিস্থিতির মধ্যে এদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা সম্প্রতি আরও বেড়ে গেছে (India Border)। বিগত কয়েক মাসের মধ্যেই কেবলমাত্র উত্তরবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বিএসএফ-এর তরফে।
অনুপ্রবেশ বন্ধে পদক্ষেপ (India Border)
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ আটকানোর জন্য আরও কড়া হচ্ছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রহরা (India Border)। সিমান্তের যে সব জায়গায় কোনও ধরনের ফেন্সিং ছিল না, সেই সকল জায়গা গুলিতে এবার তড়িঘড়ি ফেন্সিং করা হচ্ছে। সোমবার উত্তরবঙ্গের সীমান্তে শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বলতে গিয়ে।
কী বলছে বাহিনী? (India Border)
সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি সূর্যকান্ত শর্মা জানিয়েছেন, তিন বিঘা করিডর নিয়ে যে জটিলতা ছিল, সেটাও বর্তমানে কেটে গিয়েছে। সোমবার উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি সূর্যকান্ত শর্মার সঙ্গে ওই সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন, বিএসএফের ডিআইজি জেনারেল কুলদীপ সিংহ, ডিআইজি অপারেশন সঞ্জয় শর্মা, ডিআইজি পিএসও সঞ্জয় পন্থ।
লম্বা সীমান্ত
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের অনুপ্রবেশের সমস্যা বেড়েই চলেছে। আর উত্তরবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সমস্যা নিয়ে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা জানান, উত্তরবঙ্গের আট জেলার অধীনে রয়েছে প্রায় ১৯৩৭ কিলোমিটার ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত। সেই সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন রয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিরতার পরিস্থিতিতে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ানো হল আরও কড়া নজরদারি। আরও বেশি জওয়ান মোতায়েনের পাশাপাশি থার্মাল ক্যামেরা, নাইট ভিশন ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরা, এবং ড্রোন ব্যবহার করে নজরদারিও চালানো হচ্ছে। এমনকি যে সমস্ত এলাকায় সীমান্তে পারাপারের জায়গায় বসানো হয়েছে বায়োমেট্রিক মেশিন।
আরও পড়ুন: Farmer Protest: কৃষকদের সংসদ অভিযানে রাজধানীতে চড়ছে উত্তাপ!
ফেন্সিং নিয়ে বক্তব্য
সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আইজি জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ওপার বাংলায় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর থেকেই ওপার বাংলা থেকে এপারে সংখ্যালঘুদের চলে আসার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অনুপ্রবেশ নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি বা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর সঙ্গে আলোচনা করেছে। আর ফেন্সিংয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারেরও ভাল সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে থাকা মোট সীমান্তের ১০ শতাংশে ফেন্সিং নেই। খুব শীঘ্রই সেই জায়গাগুলোতে ফেন্সিং লাগানো হবে বলে জানিয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।