ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সরকার জানিয়েছে (India Negate Pak Escalation) যে পাকিস্তানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এবং রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স লক্ষ্য করে ভারতের পাল্টা আক্রমণ (India Negate Pak Escalation)
৭ মে রাতে পাকিস্তান ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় (India Negate Pak Escalation)। জবাবে, ৮ মে সকালে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের একাধিক স্থানে বিমান প্রতিরক্ষা রাডার ও সিস্টেম লক্ষ্য করে হামলা চালায়। লাহোরে পাকিস্তানের HQ-9 মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম, যা চীনের তৈরি, ইসরায়েলি হারপ ড্রোন দিয়ে ধ্বংস করা হয়।
পাকিস্তানের দাবি ও প্রতিক্রিয়া (India Negate Pak Escalation)
পাকিস্তান দাবি করেছে, লাহোরের কাছে একটি ড্রোন গুলি করে নামানো করা হয়েছে এবং আরও ১২টি ড্রোন গুজরানওয়ালা, চক্রাল, বাহাওয়ালপুর, মিয়ানো, করাচি, চোর, রাওয়ালপিন্ডি ও আটকে গুলি করা হয়েছে। লাহোরে চারজন সেনা আহত হয়েছেন এবং সিন্ধুর মিয়ানোতে একজন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও পাল্টা হামলা
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ৭-৮ মে রাতে পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাটের ১৫টি সামরিক স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ভারতের S-400 ‘সুদর্শন চক্র’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড এই হামলা প্রতিহত করে।
লাহোরে বিস্ফোরণ ও আতঙ্ক
লাহোরের ওয়ালটন বিমানবন্দরের কাছে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। স্থানীয় মানুষরা আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। সিয়ালকোট, করাচি ও লাহোর বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Operation Sindoor: রাজস্থান ও পাঞ্জাব সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি, পুলিশ কর্মীদের ছুটি বাতিল
অপারেশন সিন্ধুর প্রেক্ষাপট
৬ মে, ভারতীয় সেনা ও বিমান বাহিনী পাকিস্তানের ৯টি স্থানে জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এই হামলায় ১০০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। ভারত সরকার জানিয়েছে, এই হামলায় কোনো পাকিস্তানি সামরিক ঘাটিকে আক্রমণ করা হয়নি এবং বেসামরিক প্রাণহানি এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই হামলাকে ‘যুদ্ধের ঘোষণা’ বলে অভিহিত করেছেন। পাকিস্তান দাবি করেছে, এই হামলায় সাধারণ নাগরিক, নারী ও শিশুরা নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে জাতিসংঘ, আমেরিকা, চীন ও রাশিয়া, উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: পার্থর জামিন মামলায় ‘সুপ্রিম’ বিপাকে রাজ্য, বেঁধে দেওয়া হল সময়সীমা
এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা ও কূটনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি।