একদিনে ৪ ছবির মুক্তি: বড়দিনের বক্স অফিসে হবে ধুন্ধুমার লড়াই। একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে চার চারটে বাংলা সিনেমা। বক্স অফিস কার দখলে থাকবে ? সেই সময় কার রাজ চলবে বক্স অফিসে? এই নিয়ে এখন তুমুল জল্পনা। ডিসেম্বরে একসাথে মুক্তি পাবে দেবের (Dev) ‘খাদান’ (Khadaan), রাজ চক্রবর্তীর (Raj chakroborty) ‘সন্তান’ (Santan) , প্রতিম ডি গুপ্তের ‘চালচিত্র’, আর মানসী সিনাহ পরিচালিত ‘৫ নং স্বপ্নময় লেন’। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে ‘মুফাসা’। যে ছবির মূল চমক শাহরুখ খানের ভয়েস। অপরদিকে রয়েছে বলিউডের ‘বেবি জন’। কে কাকে টক্কর দেবে ? এখন সেটাই দেখার। কিন্তু সম্প্রতি নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবির প্রচার নিয়ে এই বিতর্কের সূত্রপাত।
প্রমোশনে ফিকে রাজের ছবি!
বড়দিনের আবহে বাংলার বক্স অফিসের লড়াইটা কিন্তু শুধুমাত্র টলিউডের অন্দরে হবে না। বরং লড়াই চলবে অন্যান্য ভাষার সিনেমার সঙ্গেও। সিনেমার প্রচার নিয়ে ব্যস্ত সবাই। সেটাই স্বাভাবিক। খাদান টিম তো বাংলার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত প্রচার করছে। প্রচুর পরিশ্রম করছে। প্রচারে বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখছে না দেবের টিম। অপরদিকে অন্যথা হয়নি রাজ চক্রবর্তীর ক্ষেত্রেও। তিনিও তাঁর ‘ সন্তান ‘ ছবির প্রচার করছেন তাঁর মতো করে। কিন্তু নেট নাগরিক প্রশ্ন তুলছে, জমজমাট প্রচার থেকে রাজ একটু পিছিয়ে। খুব একটা জমজমাট প্রমোশন তিনি করছেন না। অথচ ‘ সন্তান ‘ ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) পাশাপাশি অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
রাজের বক্তব্যে জল্পনা শুরু
সম্প্রতি দাবানলের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে রাজের কিছু ভিডিও । তারপর সেখান থেকেই শুরু একের পর এক জল্পনা। পরিচালক রাজ দাবি করেছিলেন, “খারাপ সিনেমার প্রচার বেশি করতে হয়। রাগ করো না বাবা।” অপরদিকে পাশ থেকে শুভশ্রী মন্তব্য করেছিলেন, ” নিজের খাদ নিজেই খুঁড়ছ”। পাল্টা রাজের জবাব ছিল, “খাদ কি খাদান, আমাদের সিনেমায় কোনও খাদ নেই”। ব্যাস, তারপর থেকে শুরু তুমুল জল্পনা। দেবের অনুরাগীরা এখন তির্যক মন্তব্য করছে রাজকে টার্গেট করে। এমনকি একাংশ তো ট্রোল সমালোচনা করতেও ছাড়েননি।
আরও পড়ুন: Rubel-Sweta Engagement: নতুন জীবনের শুভারম্ভ, আশীর্বাদ হল শ্বেতা-রুবেলের
পাল্টা জবাব রাজের
সেই সমালোচক নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন রাজ। প্রশ্ন ছুঁড়লেন “এক শ্রেণীর লোকের খুব সমস্যা হচ্ছে। কেন ভাই? আমার সিনেমাটা কুড়ি তারিখ আসছে। একটা ফ্যামিলি ড্রামা। এটা নিয়ে মানুষের সমস্যার শেষ নেই। যারা খুব ইমোশনাল, সম্পর্কে বিশ্বাস করেন, তাদের চোখের জল চলে এসেছে ট্রেলার দেখে। এমনটাও আমাদের জানিয়েছেন অনেকেই। আমি তো আমার ছবি নিয়ে কথা বলবোই। আমি সিনেমার প্রচার করি না, আমার সিনেমায় প্রচার করার মতো ম্যাটেরিয়াল নেই। যার যে ছবিটা দেখতে ইচ্ছে হবে সে সেটাই দেখুন। আমি শুধু এটুকুই ইয়ার্কি করে বলেছিলাম, যে এত প্রমোশন করার কি আছে, ছবি তো হিট। এটা নিয়ে অনেকের অনেক কথা, হলে গিয়ে ছবিটা দেখুন। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা লিখি করবেন”।