ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল :জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভে উত্তাল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Medinipur Medical College) পরিস্থিতি। শনিবার সন্ধ্যায় আরও এক জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে।সাসপেনশনের প্রতিবাদে রাত ১০টা নাগাদ অবস্থান বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
উত্তপ্ত মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ (Medinipur Medical College)
স্যালাইন-কাণ্ডের জেরে আগেই হাসপাতালের (Medinipur Medical College) জুনিয়র-সিনিয়র নির্বিশেষে মোট ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এর পর শনিবার সন্ধ্যায় আরও এক জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়। তালিকায় মোট ১৩ জনের মধ্যে রয়েছেন সাত জন জুনিয়র ডাক্তার। এ সব নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আংশিক কর্মবিরতির পর শনিবার তাঁরা ঘেরাও করেন হাসপাতালের সুপার, অধ্যক্ষ এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। এর পরেই তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নেন।
জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি (Medinipur Medical College)
শনিবার রাত ১০টা নাগাদ জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না সাসপেনশন এবং এফআইআর প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। বিক্ষোভ শুরুর আগে জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশন উইথড্রো করতে হবে এই দাবিকে সামনে রেখে দীর্ঘক্ষণ প্রিন্সিপালের অফিস ঘেরাও করে রাখে জুনিয়র ডাক্তাররা। এতেই চাপ বাড়ে কর্তৃপক্ষের। এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের (Medinipur Medical College) প্রিন্সিপাল, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন :
১৬২ দিন পর আরজি কর মামলার রায়, সঞ্জয় দোষী ঘোষণা আদালতের
সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দিচ্ছেন অধ্যক্ষ
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পর এবার সাসপেন্ড হওয়া সাত জুনিয়র ডাক্তারের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়ে এডিজি সিআইডি ও স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি দিচ্ছেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দি। তেমনটাই জানিয়েছেন সিএমওএইচ।
আরও পড়ুন :
আধার কার্ডে সমস্যা, পড়ুয়াকে ‘বাংলাদেশি তকমা’ প্রধান শিক্ষকের
চলছে আংশিক কর্মবিরতি
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। অভিযোগ, নিষিদ্ধ স্যালাইন নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। পরে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে অসুস্থ হয়ে পড়া প্রসূতিদের এক জনের সন্তানও প্রাণ হারায়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পরেও ওই প্রসূতি এবং শিশুকে বাঁচানো যায়নি। কারণ, চিকিৎসকেরা তাঁদের কর্তব্য পালন করেননি।এর পর কর্মবিরতির পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। প্রথমে তারা ঠিক করেছিলেন পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাবেন। পরে আংশিক কর্মবিরতির পথে হাঁটেন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে তাঁদের আংশিক কর্মবিরতি।