ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত ৭ মার্চ গুলমার্গে আয়োজিত একটি ফ্যাশন শো (Kashmir Controversy) নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিলেন দুই ভারতীয় পোশাকশিল্পী শিভন এবং নরেশ, যারা নিজেদের ১৫ বছরের কাজের সাফল্য উদযাপন করতে চেয়েছিলেন। এই ফ্যাশন শোর মূল থিম ছিল স্কি করার পোশাক এবং শীতের পোশাক, যা গুলমার্গের বরফময় পরিবেশের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে মিলে যায়।
অশালীন অনুষ্ঠান? (Kashmir Controversy)
তবে, ফ্যাশন শোর ছবির কিছু বিশেষ মুহূর্তে মডেলদের পোশাকের কারণে (Kashmir Controversy) কাশ্মীরের ধর্মগুরু মিরওয়েজ উমর ফারুক এবং মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা অনুষ্ঠানটিকে ‘অশালীন’ এবং ‘কুরুচিপূর্ণ’ বলে সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মতে, রমজান মাসে স্থানীয় সংস্কৃতি এবং বাসিন্দাদের ভাবাবেগের প্রতি যে সম্মান দেখানো হয়নি, সেটিই মূল সমস্যা।
সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল (Kashmir Controversy)
মডেলদের মধ্যে একজনকে দেখা যায় বিকিনি পরে একটি কোট চাপিয়ে গুলমার্গের ঠান্ডায় হাঁটতে, অন্যদিকে পুরুষ মডেলও অন্তর্বাস পরিহিত অবস্থায় উপস্থিত (Kashmir Controversy) ছিলেন। অনেকেই বলেছেন, এই দৃশ্যগুলি কাশ্মীরের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সঙ্গে একেবারেই অমিল। ফ্যাশন শোয়ের ভিডিও এবং ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: Mumbai Labour: জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে মুম্বইয়ে মৃত ৫ শ্রমিক
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য
মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা স্পষ্টভাবে বলেন, “কাশ্মীরের মানুষের ক্ষোভ যথার্থ। এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের আগে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মানুষের অনুভূতি সম্পর্কে ভাবা উচিত ছিল।” তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু
অন্যদিকে, বিভিন্ন রাজ্যের মানুষ এই বিতর্ক নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একজন মন্তব্য করেছেন, “রমজান মাসে গোটা দেশে একই ধরনের ফ্যাশন শো আয়োজন হচ্ছে, তাহলে কাশ্মীরের বিশেষত্ব কি?” তাঁদের মতে, কাশ্মীরের গর্ব হওয়া উচিত ছিল যে এটি বিশ্বব্যাপী ফ্যাশনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।

অপমানজনক ফ্যাশন শো
এদিকে, ফ্যাশন শোয়ের সহযোজক হিসেবে একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকা এই শোয়ের প্রশংসা করলেও, বিতর্ক শুরু হওয়ার পর তারা সেই ভিডিও মুছে ফেলে। কাশ্মীরের ধর্মীয় নেতারা ফ্যাশন শোকে ‘অপমানজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, দাবি করে বলেন যে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্পূর্ণ অবজ্ঞা।