ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শিক্ষকদের হাতে ফেরানো উচিত বেতের লাঠি (Kerala High Court)। এমনটাই পর্যবেক্ষণ কেরল হাই কোর্টের। সম্প্রতি কেরলের এক স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়ুয়াকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন ওই পড়ুয়ার অভিভাবকরা। মামলা গড়ায় হাই কোর্ট পর্যন্ত। তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ভালো পড়াশোনা শেখানোর পাশাপাশি তাদের বেপরোয়া হওয়ার শিক্ষা দিতে বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকদের হাতে ফের বেতের লাঠি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন বলেই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন কেরল হাইকোর্টের বিচাারপতি পিভি কুন্নিকৃষ্ণন।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেরুদণ্ড (Kerala High Court)
সম্প্রতি কেরালার (Kerala High Court) এক স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রের অভিভাবকরা। মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। বিচারপতি পিভি কুন্নিকৃষ্ণন ওই শিক্ষককে জামিন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ধরনের অভিযোগ উঠলে আগে পুলিশের অনুসন্ধান করে দেখা উচিত। আদালত বলেছে, শিক্ষকরা আমাদের সমাজের নায়ক। তারা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মন, হৃদয় এবং আত্মাকে গঠন করে। শিক্ষক সমাজের মনোবল খর্ব করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় কারণ তারা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেরুদণ্ড।
পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা (Kerala High Court)
বিচারপতি (Kerala High Court) পিভি কুন্নিকৃষ্ণন বলেন, ”বর্তমানে পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। এমন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা সবাই যাচ্ছি যেখানে শিক্ষকদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। বরং এখনকার দিনের পড়ুয়ারা মাস্টারের ওপর চড়াও হতে দুবার ভাবেন না। শুধু তাই নয়, আইনি জটিলতার ভয়ে শিক্ষকরাও বেত নিয়ে স্কুল যাওয়া থেকে বিমুখ হচ্ছেন”। কেরল হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, কিছু কিছু অবাধ্য-বেপরোয়া পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষকরা নিজেদের কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: Jammu and Kashmir: নতুন করে উত্তপ্ত উপত্যকা, সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই জম্মু ও কাশ্মীরে
শিক্ষকদের মর্যাদা না দিয়ে গায়ে হাত
কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি P. V. Kunhikrishnan উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ”বর্তমানে শুধু কেরল নয়, দেশের নানা প্রান্তেই চলছে শিক্ষক ঘেরাও, পড়াশোনা বন্ধ রেখে আন্দোলনের সংস্কৃতি। শিক্ষকদের যথাযোগ্য মর্যাদা না দিয়ে তাঁদের গায়ে হাত তোলা যেন রেওয়াজে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের মানসিক প্রবণতা বন্ধ হওয়া দরকার খুব শীঘ্রই। আর এর জন্য বিদ্যালয়ে ‘বেত কালচারর’ ফিরিয়ে আনা দরকার। এতে পড়ুয়ারা কোনও খারাপ কাজ করার আগে দুবার ভাববে। পরিবর্তন ঘটবে মানসিকতার”।
শুধু সঙ্গে থাকলেই কাজ
আদালত জানিয়েছে, শিক্ষকেরা চাইলে তাঁদের বেত নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারেন। ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নিয়ম করে শিক্ষকদের হাত থেকে বেতের লাঠি কেড়ে নেওয়া হয়েছে বহুদিন আগেই। যদিও অনেকেই মনে করেন, এর ফলে সুফলের থেকে কুফলই বেশি দেখা যাচ্ছে। আদালত মনে করে, ‘বেত হাতে থাকা মানেই শিক্ষকরা সেটা ব্যবহার করবেন, তেমন নয়। শুধু সঙ্গে থাকলেই অনেক সময় কাজ হতে পারে।’