ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গ্রেপ্তার কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের (Krishnanagar TMP Leader) প্রাক্তন শহর সভাপতি শিবনাথ চৌধুরী। অভিযোগ সমবায় সমিতির ১৪ কোটি টাকা তছরুপের। মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে অভিযুক্ত শিবনাথ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরুপ এবং মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত তৃণমূল নেতা। তিনি বলছেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে।
হাই কোর্টের নির্দেশে গ্রেপ্তার (Krishnanagar TMP Leader)
শিবনাথ চৌধুরী তৃণমূলের প্রাক্তন শহর সভাপতি (Krishnanagar TMP Leader)। নদিয়া জেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ, কালীনগর গভর্নমেন্ট কলোনি সমবায় সমিতির সেই সময় কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেন শিবনাথ। শুধু আর্থিক তছরুপই নয়। মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে অভিযুক্ত শিবনাথ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। হাই কোর্টের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয় বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতাকে। কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাকে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগকারিণী নন্দিতা ঘোষের দাবি, পূর্বে একাধিক বার অভিযোগ উঠলেও শিবনাথের প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে তদন্ত প্রক্রিয়া আটকে ছিল।
‘আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে’ (Krishnanagar TMP Leader)
শিবনাথ চৌধুরী (Krishnanagar TMP Leader) দাবি করছেন, “কলকাতা হাই কোর্ট বৃহস্পতিবার এই মামলাটি ডিসমিস করে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে।” গ্রেপ্তারির পর শিবনাথ চৌধুরী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র। আমি কিছুই জানি না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা আরও বলেন, “বিচার হওয়ার পর সব কিছু পরিষ্কার হবে। আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছি। এমন অভিযোগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।”
‘দলকে তার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়’
কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, ‘‘অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তদন্ত করবে। এতে দলের আলাদা করে কিছু বলার নেই। কোনও ব্যক্তি অপরাধ করলে, দলকে তার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়।’’ কৃষ্ণনগর এলাকার তৃণমূল নেতারা এই ঘটনার সঙ্গে একেবারেই যুক্ত নন বলে দাবি করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন যে, শিবনাথ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে ভুল এবং একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করেছেন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও, অনেকের দাবি, দুর্নীতি এবং তছরুপের ঘটনা যে কোনো রাজনৈতিক দলেরই সদস্যদের মধ্যে ঘটতে পারে।
তদন্তের পর এ বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ
শুক্রবার কৃষ্ণনগর শহরের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শিবনাথ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রাক্তন বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের এবং তদন্তের পর এ বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারের পর, পুলিশ দাবি করেছে যে শিবনাথ চৌধুরী ওই সমিতির পরিচালনায় সঙ্গতিপূর্ণভাবে দুর্নীতি চালিয়ে গেছেন, যার ফলে রাজ্যের একটি বড় অঙ্কের অর্থ তছরুপ হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছেই এবং শীঘ্রই আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।