ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: লোপামুদ্রা মিত্রর (Lopamudra Mitra) ঝুলিতে বড় প্রাপ্তি। এবার যা ঘটল তাতে তিনি অত্যন্ত গর্বিত। নেপথ্যে রয়েছে বাংলা গান। শিল্পীর নামে প্রকাশ্যে এল স্ট্যাম্প। সেই খবর তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন। এই প্রাপ্তি তাঁর কাছে কম বড় পুরস্কার নয়।
ডাক বিভাগের প্রতি শ্রদ্ধা (Lopamudra Mitra)
১৩ই এপ্রিল রবিবার সঙ্গীত শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় (Lopamudra Mitra) একটি পোস্ট করেন। পোস্টটি শেয়ার করে, তিনি ভারতীয় ডাক বিভাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বলেছেন, চেষ্টা করবেন আগামী প্রজন্মকে বাংলা গানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করতে।
সঙ্গীত শিল্পীর পোস্ট (Lopamudra Mitra)
কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন, তার সাথে লোপামুদ্রা (Lopamudra Mitra) লেখেন “ভারতের ডাক বিভাগের সৌজন্যে ‘My stamp ‘। আমার নিজের নামাঙ্কিত স্ট্যাম্প প্রকাশ হাওয়ায় আমি ধন্য ও গর্বিত। আমার এই প্রাপ্তি বাংলা ভাষার জন্য। আমৃত্যু আমি যেন এর থেকে বিচ্যুত না হই। আর পরবর্তী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে পারি, বাংলা গানকে ভালোবাসার জন্য।
উচ্ছ্বসিত অনুরাগীরা
লোপামুদ্রার জীবনে এই প্রাপ্তিতে ভীষণ খুশি এবং উচ্ছ্বসিত অনুরাগী থেকে শুরু করে প্রিয়জনেরা। সবাই অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক অনুরাগীর মতে, “ভালো লাগার মানুষের এত বড় দিনে আমি আপ্লুত।” আর এক অনুরাগী বলেন, “জীবনের পরম পাওয়া আমি গর্বিত আপনার জন্য।” অপর এক অনুরাগীর বক্তব্য, “অভিনন্দন লোপামুদ্রা। তুমি বাংলা গানের গর্ব। তুমি বাঙালির গর্ব। তোমার জন্য অনেক অনেক আদর আর ভালোবাসা পাঠালাম। “

ছোটবেলা জুড়ে লোপামুদ্রার গান
শিল্পী লোপামুদ্রার গান যে বাঙালির একটা বড় আবেগের জায়গা, তা বলার অপেক্ষায় রাখে না। তাঁর গান শুনে বেশ কয়েক প্রজন্ম ছোট থেকে বড় হয়েছে। এখনও সেই গান মানুষ শুনছে। নব্বইয়ের দশকের বহু মানুষের ছোটবেলা জুড়ে রয়েছে লোপামুদ্রার গান। তাই তো এক অনুরাগীর কথায়, ” সাত বছর ধরে দিল্লির বাসিন্দা। গতকাল বাঙালি বন্ধুরা মিলে বর্ষবরণ আড্ডা হল। ছোটবেলার অনুষ্ঠানে দিনগুলো নিয়ে কথা হচ্ছিল। আপনার কত গান যে আমাদের মতো নব্বইয়ের দশকের মানুষের পুরো ছোটবেলা জুড়ে রয়েছে, তা বলার নয়। অভিনন্দন আপনাকে, ভালো থাকবেন।”
আরও পড়ুন: Priyanka Sarkar: পয়লা বৈশাখ মানেই ভালো আইসক্রিম! কী কাণ্ড ঘটাতেন প্রিয়াঙ্কা?
গানের জগতে ৩০ বছর!
প্রসঙ্গত, সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে লোপামুদ্রা মিত্র ৩০ বছরের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন। প্রথম গান রেকর্ড করেছিলেন সেই ১৯৯১ সালে। যদিও আকাশবাণীতে গেয়েছেন ১৯৮৯ থেকে। বাড়িতে গানের পরিবেশ ছিল। বাবার কাছে প্রথম গান শেখা শুরু। লোপামুদ্রার মায়ের ছিল অসাধারণ সুর জ্ঞান। সুরে তালে কোনও ভুলভ্রান্তি করলেই মা ধরে ফেলত। লোপামুদ্রার জীবনে বাবা-মা প্রথম সঙ্গীত গুরু। কন্ঠ এমনই যে, আজও পর্যন্ত দ্বিতীয় কোনও শিল্পী তাঁর জায়গায় আসতে পারেননি। ‘বেনীমাধব’ থেকে ‘ধাধিনা নাতিনা’, রবীন্দ্র সঙ্গীত থেকে শুরু করে প্রেমের গান, সবেতেই দুর্দান্ত সাবলীল লোপামুদ্রা মিত্র।