ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সম্প্রতি নিউটাউনে (Mamata VS Suvendu) অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মীয় বৈচিত্র্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।” মমতার এই মন্তব্যের পর বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, “আপনি যে বলছেন আমি হিন্দু, তা খুব ভাল লাগছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (Mamata VS Suvendu)
মমতা বলেন, “বাংলায় সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে (Mamata VS Suvendu) থাকেন এবং সকলের ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়।” কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টিকে রাজনৈতিক তর্কের জায়গায় নিয়ে গিয়ে বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনারা ধর্মের দিকে নজর দিচ্ছেন।” ইতিমধ্যে, সরস্বতী পুজো ঘিরে রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটিও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। কিছু জায়গায় পুলিশি পাহারায় এবং RAF (র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স) মোতায়েন করে পুজো করতে হয়েছে। এই নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়েছে।
সাসপেনশন নিয়ে সরব বিরোধী দলনেতা (Mamata VS Suvendu)
এদিকে, শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি বিধানসভায় সাসপেন্ড (Mamata VS Suvendu) হওয়ার পর বলেন, “আমি হিন্দুদের জন্য কথা বলেছি এবং তাই সাসপেন্ড করা হয়েছে।” তার এই মন্তব্যের জন্য সরকারপক্ষ তাঁকে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস পাঠিয়েছে। মমতা বলেন, “সরস্বতী পুজো বাংলায় হচ্ছে না, এমন কথা মিথ্যা। প্রতিটি পাড়ায়, স্কুলে, কলেজে পুজো হচ্ছে।”
বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য, বলেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী নিউটাউনে একটি হাসপাতালের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ধর্মীয় সমন্বয়ের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “বাংলায় বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষার মানুষ একসাথে বসবাস করে। আমাদের ঐতিহ্য হচ্ছে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য।” এর প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আপনার সাম্প্রদায়িকতার পরিচয় নন্দীগ্রাম দেখিয়েছে।”
কী বললেন বিরোধী দলনেতা?
শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা মন্তব্য করে বলেন, “আপনি ১ ঘণ্টা ২২ মিনিট ধরে যা খুশি বলছেন! আমি ব্যানার্জি, আমি ব্রাহ্মণ—এতে আপনাকে হিন্দুদের কাছে একটি প্রশ্ন চিহ্ন হয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে। আপনাকে বলতে হচ্ছে আমি হিন্দু, আমি ব্যানার্জি পরিবার, এবং আমি শিবঠাকুরের দিকে মাথা করে ঘুমাই। এটা শুনে খুব ভাল লাগছে।”

সিপিএম-এর নিশানায় তৃণমূল
বাংলার রাজনীতিতে ধর্মীয় বিষয়গুলি নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। সিপিএম নেতারা এই ধর্মীয় মেরুকরণের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছেন। শমীক লাহিড়ি বলেন, “তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ই ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।”